বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতেই পরিচালকরা নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানকে। কয়েকদিন ধরেই বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সেটা জোরালো হয়, যখন হঠাৎ করেই ঢাকায় আসেন বুলবুল। হঠাৎ তার ঢাকায় আসার কারণ বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া। মাসিক ১২ লাখ টাকার মতো বেতনের আইসিসির চাকরি ছেড়েই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এসেছেন বুলবুল। বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব, রাজি হওয়া, আইসিসির চাকরি ছেড়ে দেওয়া এবং সেই চাকরিতে আবার ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বুলবুল কথা বলেছেন ।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কবে প্রস্তাব পেয়েছিলেন তেমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন মাস দেড়েক আগে বিসিবির সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এবং আমি প্রস্তাব পেয়েই রাজি হয়েছি। বিসিবির ডাকে এত দ্রুত সাড়া দেওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন যতবার ঢাকায় এসে সাংবাদিকদের সাথে দেখা করেছি, একটাই প্রশ্ন সবাই করতো বিসিবি থেকে কোনো দায়িত্ব দিলে নেবো কি না। এখন প্রস্তাব পেয়েছি। যদি রাজি না হতাম তাহলে আপনারাই অনেক কথা বলতেন। তাই ডান–বাম না তাকিয়ে রাজি হয়েছিলাম। বিসিবি সভাপতি হতে হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বুলবুলকে ফোন করে জানানো হয়েছে তাকে এনএসসির কোটায় পরিচালক করা হয়েছে। আপনি তো আইসিসিতে বিশাল বেতনে চাকরি করতেন। ওই চাকরির কী হবে তেমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন আমি তো দুই জায়গায় কাজ করতে পারবো না। তাই আইসিসির চাকরি ছেড়েই এসেছি। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার জন্যই তিনি এসেছেন বলে জানান।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন বিসিবিতে আমি বেতন পাবনা সেটা জানি। বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নিতে যে টামর্স অ্যান্ড কন্ডিশন আছে সেখানে আমি কোনো সম্মানী নিচ্ছি না। বিসিবির দায়িত্ব শেষ করে যদি আবার আইসিসিতে ফিরতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন অবশ্যই। তখন তারা আমাকে আরো সম্মান দিয়ে নেবে। কারণ আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় দায়িত্ব পালন করে যাবো।