দেশব্যাপী হাজারো আশেকান ও ভক্তদের অংশগ্রহণে গতকাল সোমবার ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আধ্যাত্মিক পরিবেশে পালিত হলো মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর চান্দ্রবার্ষিকী ওরশ।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় দরবারের শাহী ময়দানের পাশে হুজরা শরীফ প্রাঙ্গণে। মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। সভাপতিত্ব করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।
ওরশ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভোর থেকে দরবারে খতমে কোরআন, খতমে খাজেগান, খতমে মজমুয়ামে সালাওয়াতে রাসুল (সা.), খতমে গাউছিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির–আসকার ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ পরিচালনা করেন আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের দারুত তায়ালীম প্রধান শিক্ষক মাওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। প্রধান অতিথি বলেন, আত্মশুদ্ধি ও সমাজ সংস্কারের মধ্য দিয়েই প্রকৃত ধর্মের চর্চা সম্ভব। ধর্মের দুটি দিক –একটি অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, অপরটি বাহ্যিক সমাজিক উন্নয়ন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা এই দুই ধারাকে একত্রে ধারণ করে যুগ যুগ ধরে মানুষকে আলো দেখিয়ে আসছে। সভাপতি বলেন, আমাদের নফস দমন করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। এর মাধ্যমেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।
মাইজভাণ্ডারী তরিকার অনুসারীরা সপ্তকর্ম পদ্ধতির মাধ্যমে এই সাধনা করতে পারেন। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা সৈয়দ এরহাম হোসাইন, আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদ, জেলা, মহানগর, বিভিন্ন উপজেলা, থানা, শাখা দায়রা, খেদমত কমিটি এবং গাউছিয়া আহমদিয়া এমদাদীয়া ওলামা কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ। ওরশে আগত ভক্তদের নিরাপত্তা ও সেবা কাজে নিয়োজিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী স্পেশাল ফোর্স ও স্বেচ্ছাসেবক। শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।