বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশকে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় একদিনের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালী থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল নোমান পুলিশের ওপর হামলার উক্ত মামলায় জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদনটি করেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাশের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। দণ্ডবিধির ১২০(খ)/১২৪(ক)/১৫৩(ক)১০৯/৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়। নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া উক্ত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তথা ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে সেদিন একটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ যখন চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাবে, তখন আগে থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া তার অনুসারীরা প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করেন এবং প্রিজন ভ্যানের সামনে পিছে শুয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যানকে কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আদালত পাড়ায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর করে। শুরু হয় সংঘাত। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই মধ্যে আদালতের প্রবেশ গেটের অদূরে মেথরপট্টি এলাকায় খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। আদালত পাড়ায় সংঘটিত এসব ঘটনায় মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৬টি ও আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়।