গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে দেশে সংকট বাড়বে : খসরু

| মঙ্গলবার , ২৭ মে, ২০২৫ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে দেশে সঙ্কট আরও বাড়বে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তার এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা যত বিলম্বিত হবে, যত দেরি হবে তত বেশি আমাদের দেশে সংকট বাড়তে থাকবে। খবর বিডিনিউজের।

আমীর খসরু বলেন, দেশে যতক্ষণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন না হবে মিডিয়া তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলবে। গণতন্ত্র যতদিন অনুপস্থিত থাকবে, গণতান্ত্রিক অর্ডারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতি যত বাড়তে থাকবে আপনি দেখবেন মিডিয়ার ওপর চাপ বাড়তে থাকবে। অগণতান্ত্রিকভাবে যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা থাকার জন্য, ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন চাপের মধ্যে মিডিয়াকেও তারা চাপের রাখতে চায়আমাদের স্বীকার করতে হবে। আমাদের ঐক্যটা হবে গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা অর্ন্তনিহিত আছে। এর কোনো বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, মিডিয়ার কাজ হচ্ছে (সবাইকে) জবাবদিহির আওতায় আনা। যেভাবে নির্বাচিত সংসদে জবাবদিহি হয়, মিডিয়াও কিন্তু আরেকটা অংশ। তারাও কিন্তু জবাবদিহি নিশ্চিত করে মানুষের কাছে। সুতরাং আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এবং এটা যত বিলম্বিত হবে, যত দীর্ঘায়িত হবে তত বেশি আমাদের সংকট বাড়তে থাকবে।

গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি রাজনীতিবিদকেও সহনশীল হতে হবে। তার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কার্টুন প্রকাশের উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ওনার সমালোচনা করে একটা কার্টুন দিয়েছিল এরমধ্যে। তারেক রহমান সাহেবের প্রতিক্রিয়া কিন্তু রাগান্বিত না। উনি বলেছেন, ‘এটা দেওয়ার জন্যই তো এতবছর আন্দোলন করেছি। যাতে আমার বিরুদ্ধে দিতে পারে তারা এজন্যতো এত আন্দোলন করেছি।’ আমাদের রাজনীতিবিদদের এসব উদাহরণ তৈরি করতে হবে, আমাদেরকে সেই সহনশীলতা দেখাতে হবে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে প্রতিবেদকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ওই সময়ে যখন আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিত না তখন আমরা ঘুরেফিরে এই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আসতাম। এমনকি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা সাহস করে ওই সময় প্রধান অতিথি করেছিল। ডিআরইউ‘র নিরপেক্ষ ভূমিকা, ভিন্ন ভূমিকা সেটা আমরা স্বীকার করি। এটাই সাংবাদিকদের অবস্থান হওয়া উচিত। মিডিয়াকে কাজ করতে দিতে হবে। তাদের কাজে বাধা দেওয়া চলবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না, কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি হাসনাতের
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানির পশুর হাট নিয়ে সিএমপির ১০ সিদ্ধান্ত