চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের দিনভর কর্মবিরতি, ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি

এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৬ মে, ২০২৫ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে গতকালও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মবিরতির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে ব্যাহত হয়েছে আমদানিরপ্তানি। বন্দরে বেড়েছে কন্টেনারের জট।

গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিভিন্ন শুল্কায়ন শাখা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তাদের টেবিলে ফাইলের স্তূপ আছে। এছাড়া শুল্ক কর্মকর্তাদের হলরুমেও একই চিত্র দেখা গেছে। চেয়ার টেবিল ছেড়ে কর্মকর্তারা বিভিন্ন রুমে খোশগল্প করে সময় কাটান। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এর মধ্যে আমদানির প্রায় ২ হাজার ও রপ্তানির প্রায় ৫ হাজার। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের এই কলম বিরতি দায়িত্বহীনতার পরিচয়। আন্দোলনের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতির চাকা থামিয়ে দিতে চায়। আমরা ব্যবসায়ীরা মাঝখানে ভোগান্তিতে পড়ছি। কাস্টমস কর্মকর্তাদের তো এখানে কোনো লোকসান নাই। তারা বহাল তবিয়তে থাকবেন, বেতনও চলছে। এখন তো নতুন করে আমাদের ওপর চারগুণ পোর্ট ডেমারেজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যে আমরা যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে পারছি না, এখানে আমাদের দায় কোথায়? আমরা কি লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবো? এভাবে কলম বিরতি পালন না করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উচিত, তাদের ঊর্ধ্বতনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দাবি দাওয়ার বিষয় থাকলে সেটি সমাধান করা। ওনাদের কারণে আমরা জিম্মি হয়ে পড়ছি।

উল্লেখ্য, এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রণীত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারির প্রতিবাদে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি কর্মসূচির ডাক দেয়। সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মকর্তাকর্মচারী রাজস্ব ব্যবস্থার টেকসই সংস্কারের দাবি করে আসছেন। অথচ সংস্কারের প্রধান অংশীজন হিসেবে তাদের মতামত গ্রহণ না করেই এবং সরকার গঠিত সংস্কার কমিটির সুপারিশ প্রকাশ বা পর্যালোচনা ছাড়াই একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে নতুন কাঠামো প্রবর্তন করা হয়েছে। যা রাজস্ব ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্মঘট, চট্টগ্রামে ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল পেট্রোল পাম্প
পরবর্তী নিবন্ধলায়ন্স আই ইনস্টিটিউটের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে