রাউজান পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে এক ক্যাবল নেটওয়ার্ক (ডিস লাইন) ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার ঘরের সামনে গিয়ে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে রাউজান পৌর যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। গত ২৪ মে রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গহিরা গ্রামের আবদুস সোবহান দারোগা বাড়ির ডিস লাইন ব্যবসায়ী আবদুলের বাড়িতে। আবদুলের অভিযোগ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ আহমদ তাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে ফয়েজকে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার কথা জানান আবদুল। মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে রাতে ঘরের সামনে এসে একাধিকবার গুলি ছুঁড়ে আতংক ছড়ান। এর আগেও চাঁদা দাবি করে আসা ফয়েজ তার সহযোগীদের নিয়ে একই কায়দায় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। আমাকে খোঁজাখুঁজি করে যাওয়ার পথে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। তারা মূলত আমাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে ডিস ব্যবসা কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর যুবদল নেতা ফয়েজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে গুলি ছোঁড়া ও চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন ডিস ব্যবসায়ী আবদুল আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সহযোগী সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বহু অভিযোগ আছে, তাকে অনেকবার জনরোষ থেকে রক্ষা করেছি। শনিবার রাতে আবদুলের অত্যচারের শিকার কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়েছে জানতে পেরে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। পরে আমি সবাইকে সেখান থেকে নিয়ে এসেছি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে গুলি ছোঁড়ার কোনো ঘটনা আমি শুনিনি। এই নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগও করেনি। তবে এক পক্ষের চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করছে।