চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগের অনেক কর্মীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে অনেকে সাইন করে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু কাজ করছেন না। এই ধরনের কাজে যারাই জড়িত থাকবেন, সেই ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের আমি দায়ী করব। সবাইকে কাজে লাগিয়ে শহরকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
গতকাল রোববার টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি।
বৈঠকে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে আরো কার্যকর ও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে আমাদের মানুষের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটমেন্ট। এটি আমাদের প্রাইম দায়িত্ব। শহরকে ময়লা, দুর্গন্ধ ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে হলে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
শাহাদাত বলেন, নগরের নালা ও খালগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, কোথাও স্ল্যাব মিসিং থাকার সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। এ সময় নগর ব্যবস্থাপনার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি এবং নালায় পলিথিন ফেলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহরকে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। এটা আমাদের শহর, আমাদের দায়িত্ব। এই যাত্রায় সকল নাগরিককে পাশে চাই। বর্ষাকাল আসন্ন হওয়ায় এখন খাল সংস্কার নয়, খাল ও ড্রেন পরিষ্কারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, নেভি ও সেনাবাহিনীসহ সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। পাহাড় কাটা ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস প্রসঙ্গে মেয়র জানান, আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। বর্ষার আগে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।