সেশনজট নিরসন ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগের আশ্বাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে অনশন ভাঙেন স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী। স্পোর্টস সায়েন্সের সভাপতি প্রফেসর ড. এন. এম. সাজ্জাদুল হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, ২০২০–২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু রাজিন মণ্ডল, একই শিক্ষাবর্ষের তারেক মাহমুদ, ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাধীন বসু মিয়া ও ক্যাএসিং মারমা, ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী, ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের হাফসা কাউসার মিশু, ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ জাবেদ এবং বখতিয়ারুল ইসলাম, ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাইমিন আনাম ও ওয়ালিউল্লাহ। অনশনে শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের ভেতরে ক্লাস এবং পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার শেষ করা। আগামী ১২ মাস বা ৩ সেমিস্টারের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে ক্লাস শুরু, ফর্ম ফিলআপ, পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা ও ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রদান করার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের এসব দাবি মেনে নিয়েছে বিভাগ। শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতি এসে সেশন জ্যাম নিরসনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলে ঝামেলা বন্ধ হয়ে যায়। যেকোনো বিভাগের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে হয়। এসব ক্ষেত্রে আমাদের খুব একটা করণীয় থাকে না, যদি না সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ না করে।