প্রধান উপদেষ্টা অবশ্যই থাকবেন : ওয়াহিদউদ্দিন

উপদেষ্টাদের নিয়ে বিতর্ক সমীচীন হবে না

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, উনি তো চলে যাবেন বলেননি। উনি বলেছেন যে, আমরা যে কাজ করছি, আমাদের ওপরে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে; কিন্তু আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমাদের অর্পিত দায়িত্ব, এটা তো বড় দায়িত্ব, এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ, বহু বছরের ভবিষ্যৎ, এ দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারব না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তারা একনেক সভা করেন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আসছে, সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা প্রত্যেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, কার কী প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কাজ আমরা এগিয়ে নিতে গেলে কী হচ্ছে, সেগুলো আমরা দেখছি। খবর বিডিনিউজের।

আগামী নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি। বলেছেন, এ ক্ষেত্রেও যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন ও সুশাসিত গণতান্ত্রিক অবস্থায় উত্তরণে যে ধরনের ক্ষেত্র তৈরি করা দরকার সেই কাজেও, এটা তো আমাদের প্রধান কাজ; সেই কাজেও কোথা থেকে কী প্রতিবন্ধকতা আসছে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা কি চিহ্নিত করা হয়েছে? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান।

উপদেষ্টাদের নিয়ে বিতর্ক সমীচীন হবে না : বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে বিভিন্ন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবির প্রেক্ষিতে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কাউকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি সমীচীন হবে না। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, যখন আমার সম্বন্ধে বলা হয়েছে, আমি জানতে চেয়েছি, দলীয়ভাবে এ রকম কথা বলা হয়েছে কিনা? মনে হচ্ছে এবং আমাকে জানানো হবে, এটা কোনো দলীয় মতামত নয়। যদি দলীয় মতামত হতো, তাহলে কারণ, এই সরকার তো গণঅভ্যুত্থানের স্বপক্ষের সকল শক্তির সমর্থনেই হয়েছে এবং এই সরকারের ভিত্তিই সেটা। সেখানে বিতর্ক সৃষ্টি হোক কাউকে নিয়ে, তাহলে তো সমীচীন হবে না।

উপদেষ্টা পরিষদের পাঁচজনের (এনসিপির তরফে তিনজন ও বিএনপির তরফে দুজন) পদত্যাগ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম কিছু যদি হতো তাহলে তো, আমরা তো কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে আসিনি এবং এই দায়িত্ব খুব উপভোগ্য কোনো দায়িত্বও না। কাজেই সে রকম কিছু হলে তো আমরা যে কেউই পদত্যাগ করতে পারতাম। তার পদত্যাগ চাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে বলা হয়েছে, আসলে দলীয়ভাবে কোনো কথা আসেনি, বরং তার উল্টোটাই হবে যতটুকু জানতে পেরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবরাদ্দ কম নিয়ে প্রশ্ন, মেয়রের কণ্ঠে হতাশা
পরবর্তী নিবন্ধপানিতে ডুবে একদিনেই চার শিশুর মৃত্যু