তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে বাজারে মিলছে নানা মৌসুমি ফল। এরমাঝে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন বাজার তালের শাঁসে ভরে উঠেছে। মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে কিংবা আশেপাশের উপজেলা থেকে এসব সংগ্রহ করে বাজারে এনে বিক্রি করছেন। ক্রেতারা এসব কিনে খাওয়ার পাশাপাশি অনেককে ঘরেও নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বুধবার (২১ মে) উপজেলার রোয়াজারহাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাপ্তাই সড়কের দুই পাশের একাধিক স্থানে শোভা পাচ্ছে এই ফল। বাজারে এসব তালের শাঁস স্তূপ আকারে রেখে বিক্রির দৃশ্যও মনোরম। খেতে নরম, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তালের শাঁস খেয়ে তৃপ্তি মেটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, দোভাষী বাজার, রাণীরহাট, ধামাইরহাট, রাজারহাট, ক্ষেত্রবাজার, শান্তিরহাট, গোচরাসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়েও একইচিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতা রেজাউল করিম জানান, তালের শাঁস বললে কেউ চিনবে না।
স্থানীয়ভাবে তাল কিংবা তালের ডাব হিসেবে পরিচিত। প্রতি পিস বিচি অনুসারে ২০–৪০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন প্রায় এক দেড়শোটা বিক্রি হয়। বাজারের নির্ধারিত দিনে আরও বেশি বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, তালের শাঁস এবং ডাবের পানির পুষ্টিগুণ একই। তালের শাঁস মানুষকে বিভিন্ন রোগ হতে দূরে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এসব মৌসুমী ফল ও লেবু জাতীয় ফলমূল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে কালের বিবর্তনে এসব গাছ অনেকটা কমে গেছে। তাই বজ্রপাতসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তালগাছ রোপণ করতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।