বই পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মানসিক সুস্থতা বাড়ে। বই পড়ার মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী মানুষ গড়ে উঠে। বই পড়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। ‘আলোকিত মানুষ চাই’ প্রতিপাদ্যে সামাজিক এ সংগঠনটি কিশোর ও যুব সমাজকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এই সংগঠনের মূল কৌশল হলো গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। এছাড়া সংগঠনটি বাংলাদেশে বই পড়া ও সৎ চিন্তার বিকাশ ঘটানোর জন্য কাজ করে থাকে। দেশব্যাপী এর শাখা রয়েছে। এবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজন করেছে। ভ্রাম্যমাণ বইমেলায় থাকবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশনাসহ দেশি–বিদেশি সকল প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত দশ হাজারেরও বেশি বিখ্যাত বই। এতে সূলভ মূল্যে যে কেউ বই কিনতে পারবে।
বইমেলায় রয়েছে দেশি–বিদেশি লেখকদের বিখ্যাত উপন্যাস, গল্পের বই, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনী, কবিতার বই, প্রবন্ধের বই, নাটকের বই, জীবনীগ্রন্থ থেকে শুরু করে ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক উপন্যাস, রূপকথা, অনুবাদগ্রন্থ, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, স্বাস্থ্য–চিকিৎসা, রান্না ও ব্যায়ামবিষয়ক, কম্পিউটার, ভাষা শেখার বইসহ সবধরনের বই।
চট্টগ্রামে ৫ দিনব্যাপী এ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব হচ্ছে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড ময়দানে। গত মঙ্গলবার এ মেলা শুরু হয়েছে, আজ শনিবার এ মেলা শেষ হবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে এ মেলা।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলার ইউনিট ইনচার্জ অমিত চক্রবর্তী জানান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের অংশ হিসেবে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত বিকাশ বড়ুয়া। গতকাল শুক্রবার মেলার চতুর্থ দিনে বই বিক্রির পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুস সালাম।