শকুনেরা চিনে মানচিত্র

নীলুফা সুলতানা | বুধবার , ২১ মে, ২০২৫ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

চারুলতা, কেমন আছো? আশা করি, ভালো আছো। এই নিয়ে তোমাকে আরেকটিবার চিঠি লেখা আমার। চারুলতা তোমাকেই আমার বলতে হয় পৃথিবী এখন গোপনে ভীষণ গোলাপী হওয়ার জন্য তীব্রতায় মগ্ন হয়ে আছে। বেগুনি হওয়ার জন্য সবর্দাই তার এক পা বাড়িয়ে দেওয়া। একদা সজীবতায় ভরপুর পৃথিবীর রঙ এখন একটাই। গাঢ় বেগুনি, গাঢ় হলুদ। উদ্ভিন্নযৌবনা কুমারী মাতা হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে সে। রুপে রসে কামাসক্তায় বিপুলা পৃথিবী। ঝরা বকুলের বৃষ্টির জন্য কোন প্রার্থনা নেই, নাই ফুলেল সৌরভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। যদিও তখন আমাদের জন্ম হয়নি। কামানগোলানের অস্ত্রের ঝনঝনানি, পারমানবিক বোমায় কেঁপে উঠেছিল জাপানের হিরোশিমা নাগাসিকার মতো বিখ্যাত শহরগুলো। শুনলে আমাদের অদ্ভুত লাগারই কথা। একদা যুদ্ধ পারমাণবিক বোমার ত্রাস পৃথিবী মানবিকতা হারিয়ে বিপন্ন হয়ে উঠেছিল। এখনও চলছে যার ধারাবাহিকতা। আমাদের হৃদপিণ্ড খেয়ে অশ্রুভরা মানচিত্রে হায়েনারা গড়ে তুলেছে দারণ আবাসস্থল। চারুলতা এখন তো সহসায় বলতে পারি আমরা পৃথিবী উদ্বিগ্ন হওয়ায় জন্য ব্যাকুল ভীষণ ব্যাকুল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড়ধসে মৃত্যু দায় কার: প্রকৃতি নাকি মানুষের?
পরবর্তী নিবন্ধগৌরবময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন