হাটহাজারীতে গ্রাম আদালতে তিন মাসে মামলা নিষ্পত্তির হার মাত্র ৫ শতাংশ

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তথ্য প্রকাশ

হাটহাজারী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ মে, ২০২৫ at ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মশিউজ্জামান।

সভায় গত তিন মাসের অবস্থা বর্ণনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, যেখানে গত তিন মাসে মোট ১৪টি ইউনিয়নে মামলার সংখ্যা ২৬ টি পূর্বের অপেক্ষমাণ সহ মোট মামলা ১৩০ টি, গত তিন মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে কেবল ৭ টি মামলা অনিষ্পত্তি রয়েছে মোট ১২৩ টি যা মোট মামলার ৫%। গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা,নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে তাদের সুবিচার বৃদ্ধি করা,গ্রাম মামলার ফিস, ছোটখাট বিরোধে জনসাধারণকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায় ) প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার গ্রাম আদালতের সেবা প্রার্থীদের বিশেষত নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে তাদের সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ভূমিকা রয়েছে। গ্রামের সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি নামমাত্র ফিস দিয়ে(দেওয়ানী মামলার ফিস ২০টাকা,ফৌজদারী মামলার ফিস ১০ টাকা) কম সময়ে, কম খরচে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারিক সেবা নিয়ে উপকৃত হবার সুযোগ রয়েছে।ফলে স্থানীয় বিরোধ সমূহ নিয়ে জেলা আদালতে জনগণকে দৌঁড়াতে হবে না।হতে হবে না কোন রকেমের হয়রানির শিকার। এতে করে জনসাধারণ যেমন স্বাচ্ছন্দে বিচারিক সেবা পাবেন তেমনি উচ্চ আদালতে মামলার জট কমানোর ক্ষেত্রে ও ভূমিকা রাখবে গ্রাম আদালত। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদলত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায় ) প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন)। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় উপজেলা ইউ আরটি সদস্য ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ ই জাহান, ইউ আরটি সদস্য ও সভাপতি হাটহাজারী কেশব কুমার বড়ুয়া ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মুরশেদ, মোহাম্মদ বাদশা আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগিটারে সুরের প্রশান্তি
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে দুই ভাইয়ের ৪টি গরু চুরি