২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

| সোমবার , ১৯ মে, ২০২৫ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনএসি) পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে আগামী ২০২৫২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপার্সন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২০২৫২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ও অনুদান হিসেবে আসবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা যুক্ত করলে, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট এডিপির আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা। খবর বাসসের।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অনুমোদিত এডিপি ২০২৫২৬ অর্থবছরের নতুন বাজেটের অংশ, যা ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা করবেন। আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল কৌশল হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা, মুল্যস্ফীতি হ্রাস করা, বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাজেটকে টেকসই করা। একই সঙ্গে দেশি বা বিদেশি ঋণের ফাঁদে না পড়ে ঋণ পরিশোধে বা উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় মেটাতে যেন অতিরিক্ত চাপ না হয় তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। আমরা অতিতে যে দুষ্টচক্রে পড়েছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।

রাতারাতি রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, তা সত্ত্বেও সরকার বাজেট ঘাটতি জিডিপির চার শতাংশের মধ্যে রেখে ব্যয় সমান রাখার চেষ্টা করবে। মূল্যস্ফীতির প্রবণতা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হঠাৎ করে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমাতে পারবে না।

. মাহমুদ বলেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছাড়াও এই বাজেট ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বাজেট হবে না যেখানে স্বল্পমেয়াদে সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন ুকোনও ব্যয় করা হবে না যা পরবর্তীতে দায় বাড়িয়ে দিতে পারে। জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প ছাড়া নতুন কোনো মেগা প্রকল্প বা দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নতুন এডিপিতে নেওয়া হয়নি। কিছু অসুবিধা সত্ত্বেও সরকার উন্নয়ন অংশীদার এবং বিদেশি পক্ষগুলোর কাছে বছরের পর বছর ধরে বকেয়া পাওনা ধীরে ধীরে পরিশোধ করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাসানচরের কাছে চুনাপাথর নিয়ে ডুবল লাইটারেজ জাহাজ
পরবর্তী নিবন্ধস্কুলমাঠে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না