এলইডি সাইন ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ নিয়ে যা হলো

সেন্ট্রাল প্লাজা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ মে, ২০২৫ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরের জিইসি মোড়ে সেন্ট্রাল প্লাজার ছাদে ও দেয়ালে স্থাপিত দুটি এলইডি সাইন ও কয়েকটি বিলবোর্ড উচ্ছেদে গেলে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে তাদের পূর্বে অবহিত করা হয়নি। মার্কেট খোলার দিন উচ্ছেদ কার্যক্রম চললে ক্রেতাদর্শনার্থীদের সমস্যা হবে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা ব্যবসায়ীদের জানান, এলইডি সাইন ও বিলবোর্ড স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। এরপর ব্যবসায়ীরা নিবৃত হলে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অভিযান না চালিয়ে ফিরে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এলইডি সাইন ও বিলবোর্ড স্থাপনকারী বিজ্ঞাপনী সংস্থা এ্যাডফ্রেমের প্রতিনিধি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে নিজ উদ্যোগে বিলবোর্ড ও এলইডি সাইন সরিয়ে নিতে সময় চেয়েছেন। মেয়র তাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেন। তাই উচ্ছেদ না করে ফিরে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশ নেওয়া চসিকের কর্মকর্তাকর্মচারীরা।

জানা গেছে, এডফ্রেমের মালিক হচ্ছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু ও তার ব্যবস্থাপনা অংশীদার হচ্ছেন মুহাম্মদ হাফিজ উল্লাহ আমিন তিমুর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় বড় ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়। ছাদে বিলবোর্ডটির একাংশ কেটেও ফেলা হয়। কিন্তু সেন্ট্রাল প্লাজার পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ করা ছাড়া অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশ নেওয়া এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজাদীকে বলেন, কর্পোরেশনের উচ্ছেদে এলইডি সাইনগুলো ভাঙা হতো। সেগুলো নাকি অনেক দামি। তাই নিজেদের টেকনেশিয়ান দিয়ে এলইডি সাইন খুলে নিতে মেয়রের কাছে সময় চায় এডফ্রেমের প্রতিনিধিরা। মেয়র তাদের সময় দিলে অভিযান স্থগিত করে চলে আসি।

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ আজাদীকে বলেন, অভিযানে কেউ বাধা দেয়নি। নিজ উদ্যোগে একদিনের সময় দিয়ে অভিযান স্থগিত করা হয়।

জানা গেছে, ২০২২ সালের দিকে জিইসি মোড়ের সেন্ট্রাল প্লাজার ছাদে ও দেয়ালে এলইডি সাইন বিলবোর্ড স্থাপন করে এ্যাডফ্রেম। ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বার্ষিক ২০ লাখ টাকায় বিলবোর্ডগুলো অনুমোদন দেয় সিটি কর্পোরেশন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন বাতিল করে বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে সাগরে ভেসে উঠল নিখোঁজ সিফাতের লাশ
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার সম্পদে গড়মিল, মামলা হবে : দুদক চেয়ারম্যান