সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। অরুনাচলে খেলা বলে মাঠ, দর্শক সবই থাকবে ভারতের অনুকূলে। স্বাগতিকদের শক্তিশালীও মানছে বাংলাদেশ। তবে দলের ভেতরে ঠিকই বইছে আত্মবিশ্বাসের স্রোত। ভারতের বিপক্ষে সেরা সাফল্য পেতে দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষায় মুর্শেদ–ফয়সালরা। অরুনাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে আজ রোববার সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। বয়সভিত্তিক এই ক্যাটাগরিতে ২০২৩ সালে একবার শিরোপা জিতেছে ভারত। প্রথমবারের মতো এই ক্যাটাগরিতে ট্রফির স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। এই প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব–২০ ক্যাটাগরির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবার অনূর্ধ্ব–১৯ ক্যাটাগরিতে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ছেলেরা উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গ্রুপ পর্ব ও নকআউট পর্বের অজেয় পথচলার ছন্দ তিনি টেনে নিতে চান ফাইনালের মঞ্চে। ‘আমাদের ছেলেরা এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো ফুটবল খেলেছে। তারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। এতে এখন তারা অনেকটা আত্মবিশ্বাসী। ফাইনালের জন্য তাঁরা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত।’ অধিনায়ক হিসেবে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিন ম্যাচে গোল পেয়েছেন নাজমুল হুদা ফয়সাল। এই তরুণ জানান, রোমাঞ্চ নিয়ে ভারত ম্যাচের অপেক্ষায় থাকার কথা। ‘ফাইনাল সবসময় একটু এঙাইটমেন্ট কাজ করে। এটা ফাইনাল, টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ। এখানে দুইটা দলই চাইবে জিততে, ভালো খেলতে এবং ট্রফি দেশে নিয়ে যেতে। আমরা এখানে এসেছি লক্ষ্য পূরণ করতে। ইনশাআল্লাহ সেটা করেই দেশে ফিরব। আমাদের দল শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল। প্রতিটা খেলোয়াড় ও দলের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমাদের। আমরা ভালো কিছু করার জন্য এখানে এসেছি। যেহেতু ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। ভারত ভালো দল, তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের। তবে, আমরা এসেছি লক্ষ্য পূরণ করতে। আমরা শতভাগ নিংড়ে দেব এবং লক্ষ্য পূরণ করে ফিরব।’ দুটি দলই অপরাজিত থেকে ফাইনালের মঞ্চে এসেছে। বাংলাদেশ অবশ্য তিন ম্যাচের মধ্যে একটি করেছিল ড্র। ভারত জিতেছিল তিনটিই। তবে বাংলাদেশকে মোটের হালকাভাবে নিচ্ছেন না ভারত কোচ বিবিয়ানো ফের্নান্দেস। “আপনারা জানেন, বাংলাদেশ কতটা ভালো। তারা ভালো খেলেছে বিশেষ করে সেমি–ফাইনালে। তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের এবং আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি ফাইনালের জন্য। ফাইনালে আমরা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করতে চাই।’