মাটির নিচে লুটের টাকা

লামায় টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে ডাকাতির ঘটনা

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ মে, ২০২৫ at ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের লামায় আলোচিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের একাধিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে সেই করিমকে এখনো ধরা যায়নি। বিলছড়ির বাসিন্দা ডাকাত সর্দার করিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গত ৯ মে ভোররাতে দেশীয় অস্ত্রধারী ১৫২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল লামা উপজেলার লাইনঝিরি এলাকায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে হামলা চালায়। সশস্ত্র ডাকাতদল অফিসের কর্মচারীদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নেয়। তবে শক্ত লোহার সিন্দুকে থাকা আরও ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তারা নিতে পারেনি। এ ঘটনায় পরদিন ১০ মে লামা থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্তে নেমে পুলিশ বান্দরবানের লামা ও পার্শ্ববর্তী কঙবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে ৩ জন নারীসহ জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোচকরিয়া উপজেলা পূর্ব বড় ভেওলা এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), চকরিয়ার লক্ষ্যাচর এলাকার নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুর রহিম (৩৬), লামা পৌরসভা এলাকার মো. সুজন (২৫), লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগম (৪৫), ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড দলনেতা মো. করিমের স্ত্রী ও বোন এবং আরেকজন পুরুষ আসামি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হল মো. করিম। লামা উপজেলার সাবেক বিলছড়ি এলাকার বাসিন্দা করিমকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শনিবার করিমের স্ত্রীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য মতে দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে লুট হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা এবং তার দেয়া তথ্য অনুসারে শুক্রবার রাতে ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। টাকাগুলো মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দাবি ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড হলো দক্ষিণ চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. করিম। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনায় তিন নারীসহ জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসররা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীর আ. লীগ নেতা সঞ্জয় ভঞ্জ গ্রেপ্তার