পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় উপজেলা আবুল টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ০৩ জনকে আটক করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মারুফুল প্রকাশ আরিফ (৩০), লক্ষারচর ইউনিয়নের মাজেরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে নাঈমুল ইসলাম (সাগর) (৩১) ও লামা পৌরসভা এলাকার লাইনঝিরির বাসিন্দা মৃত সাহেব আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৬)।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ভোর রাতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল অজ্ঞাতনামা ডাকাত আবুল কোম্পানির তামাক ক্রয় কেন্দ্রের কার্যালয়ে ঢুকে স্ট্যাফকে মারধর ও বেঁধে রেখে আমারিতে রক্ষিত এক কোটি পঁচাত্তর লাখ ছয়শত আটত্রিশ টাকা নিয়ে যায়।
পরে ডাকাতির ঘটনায় ১০ মে লামা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। জানাযায়, ঘটনার সময় ডাকাত দল লোহার সিন্ধুক ভাঙার ব্যর্থ চেষ্টা করে। তৎসময় লোহার সিন্ধুকে রক্ষিত ছিল আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা। লাইনঝিরি নামক স্থানে প্রধান সড়ক ঘেঁষে আবুল টোব্যাকো’র তামাক ক্রয় কেন্দ্র।
তার পাশে একটি বিল্ডিং দোকান প্লটে তাদের কার্যালয়ে ঘটনা ঘটে। গত ১২ মে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম চকরিয়া উপজেলা ও লামা পৌরসভায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
এর মধ্যে একজনকে বান্দরবান জেল হাজতে ও দুইজনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডে দেন আদালত। লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করার পর পুলিশ সুপার ঘটনাটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এরই মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ডাকাত সদস্যদেরকে আটকের অভিযান চলমান আছে।