যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই করেছে। চুক্তিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি’ বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউজ।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকালে গতকাল মঙ্গলবার এই চুক্তি হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবকে ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার মূল্যের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও অন্যান্য সামরিক সেবা সরবরাহ করবে। খবর বিডিনিউজের।
চুক্তি সইয়ের পর মঞ্চে এক বক্তব্যে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘বিস্ময়কর’ একজন মানুষ বলে প্রশংসা করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন এখন আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী–বলেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলের ধনী আরব দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগের আশা নিয়ে গতকাল ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে যান। এই সফরে ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্যই অর্থনৈতিক চুক্তি, গাজা যুদ্ধ বা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা নয়। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। অস্ত্রচুক্তি দীর্ঘদিন ধরেই দেশ দুটির এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হয়ে আছে।
কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন ইয়েমেনে ছড়িয়ে পড়া ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল।