চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল নতুন কালুরঘাট সেতু

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভায় জসিম উদ্দিন চৌধুরী । প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে কৃতজ্ঞতা জানালেন উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা

| বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

নতুন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন চট্টগ্রামবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ বলে মন্তব্য করেছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাট নতুন সেতু অবশেষে বাস্তবায়নের পথে। এটি চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির বাস্তব প্রতিফলন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কালুরঘাটে নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আসায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান জসিম উদ্দিন চৌধুরী। ‘চাটগাঁর’ সন্তান ইউনূসের আন্তরিক সহযোগিতা ও সদিচ্ছার কারণেই চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবিনতুন কালুরঘাট সেতু বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি চট্টলদরদী মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীই প্রথম নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন। তার সেই দাবি চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়। যার ধারাবাহিকতায় আজ এই সেতু বাস্তবায়নের পথে। কর্ণফুলীতে নতুন সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরের সংযোগ আরো সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন হবে বলে জানান জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এতে ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্পায়ন এবং জনজীবনে বহুমাত্রিক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। নির্ধারিত সময়ে নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম আসছেন আমাদের গর্বিত সন্তান, নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার অসীম প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। সভায় সভাপতির বক্তব্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল হক বলেন, কমিটির ব্যানারে ১৯৯৮ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, গণসংযোগ, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন করেছি নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণে। চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থে পরিচালিত এ আন্দোলনে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন ছিল আমাদের প্রেরণা।

মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা চট্টগ্রামে শ্রদ্ধাপূর্ণ স্বাগত জানাচ্ছি। তার এই সফর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি চট্টগ্রামের মানুষের আশাভরসার নতুন ভিত্তি হবে বলে আমরা আশা করছি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন আকবর হোসেন, লায়ন নুরুল আলম, ফয়েজুর রহমান বেলাল, এসএম সিরাজউদ্দৌলা, প্রকৌশলী শহীদুল আলম, সালামত উল্লাহ্‌, এটিএম কামরুদ্দীন চৌধুরী তাহের, জিকরু হাবিবিল ওয়াহিদ, নোমান উল্লাহ্‌ বাহার, গোলাম হোসাইন, রাকিব উদ্দীন ভুঁইয়া প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলী নদীকেও রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রামকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহট্টগোল, লিফটে নিতে আইনজীবীদের বাধা
পরবর্তী নিবন্ধধারের টাকায় মেগা প্রকল্প নেব না : অর্থ উপদেষ্টা