২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ ক্রিকেটের নেতৃত্ব পেয়েছেন লিটন দাস। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর গতকাল সোমবার প্রথমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পেলে অনেক কিছু চিন্তা করার সুযোগ থাকে। এখন দেখার বিষয় হলো এই সময়ের মধ্যে আমি দলকে কতটা গুছিয়ে নিতে পারি। আমার জায়গা থেকে আমি অনেক আশাবাদী। লম্বা সময় এবং আমাদের যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের নিয়ে আশা করি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’ লিটন প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জানালেন জয়ই তার একমাত্র লক্ষ্য, ‘এখানে জেদের কিছু নেই। প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ই চায় পারফর্ম করতে। আর প্রত্যেকটা বাংলাদেশের অধিনায়কই চায় দল জিতুক। আমিও ব্যতিক্রম কিছু নয়। আমি চাই আমার হাত ধরেই বড় কিছু হোক বা আমার অধিনায়কত্বে আমরা সিরিজ জিততে পারি। লক্ষ্য একটাই।’ জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে পূর্বের অধিনায়কদের ইতিবাচক দিকগুলোই নিজের মাঝে আনতে চান তিনি, ‘সবারই কিছু গুণ আছে। আমি যেহেতু অনেকদিন খেলেছি আমি চেষ্টা করব বড় ভাইদের (আগের অধিনায়কদের) যেসব গুণ ছিল সেগুলো অ্যাপ্লাই করতে মাঠ এবং মাঠের বাইরে। তাহলে আমি খেলোয়াড়দের আরও কাছে যেতে পারব এবং পারফরম্যান্স আদায় করে নিতে পারব।’এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাময়িক দায়িত্ব পেয়েই অধিনায়ক লিটন মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে। এরপর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েই গিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বেশ লম্বা সময় ধরেই থাকবেন জাতীয় দলের নেতৃত্বে। তবে এ নিয়ে মোটেও চাপ দেখছেন না তিনি। লিটন বলেন, ‘চাপের কিছু নেই। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম না তখনও পারফরম্যান্স খারাপ ছিল, এমন না যে এখনও খারাপ হবে। এটা (অধিনায়কত্ব) একটা প্লাস পয়েন্ট হতেই পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, তাতক্ষণিকভাবে ১–২ দিন ব্যর্থ হলেও ফলাফল আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। আমি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি যেন ফলাফলটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’ নিজের পরিকল্পনা নিয়ে লিটন জানান, ‘আগের যত প্ল্যানিং ছিল সেটা তাৎক্ষণিক সেই সিরিজের জন্য। যেহেতু এখন লং টাইমের জন্য সুযোগ এসেছে, আমার চিন্তাগুলো এখন ভবিষ্যতকেন্দ্রিক হবে। এখন আমি জানি আমার এতদিন পর্যন্ত একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজের বিষয়টা এখনও থাকবে কিন্তু ভবিষ্যতের বিষয়টাও মাথায় থাকবে।’দলের উন্নতির জন্যই তাগিদ দিয়ে রাখলেন লিটন, ‘বাংলাদেশ দল এগিয়ে যেতে হলে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে ক্রিকেটারদের। আমরা ভালো খেললেই দল আগাবে। প্রথমত আমাদের খেলোয়াড়দের সবার নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। যতটা বিসিবির সাথে আমি যোগাযোগ করব, তার চেয়ে বেশি করব খেলোয়াড়দের সাথে– তাদের চাওয়া কী, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমি তো কেবল আসলাম, যত সময় যাবে তত আমি বিষয়টার সাথে অভ্যস্ত হতে পারব।’