বরিষ ধরা–মাঝে শান্তির বারি। শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে উর্ধ্বমুখী নরনারী.., ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পায় নি তোমায় দেখতে আমি পায় নি….’ ‘হে নূতন, দেখা দিক আর–বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ, তোমার প্রকাশ হোক কুহেলিকা করি উদঘাটন সূর্য্যের মতন..’ আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পুণ্য করো দহন দানে….। এমনি প্রাণজুড়ানো মায়াময়রূপের সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী আয়োজন করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম। গত ৯ মে নগরীর এনায়েতবাজারস্থ মহিলা কলেজ পরিচালিত বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রামে কখনো সংগীত ও আবৃত্তি, কখনো কথামালা, নৃত্যে ও আড্ডায় বিশ্বকবি সৃষ্টির সম্ভারে সাজানো হয় আয়োজন। শুরুতে দলীয়সংগীতে প্রাণসঞ্চার করেন স্বর সন্ধি সংগীত নিকেতনের শিল্পীরা। এতে সংগীত পরিচালনায় ছিলেন দলপ্রধান অর্পিতা নাথ। এরপর কথামালার পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সংগীতভবনের অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্তা। কথার পরই তিনি সমবেত কণ্ঠে ছড়িয়ে দেন আগুনের পরশমনির বিকিরণ এবং আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বের বার্তা। নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেন অংকিতা ভট্টাচার্য, সারগাম বড়ুয়া ও প্রেক্ষা দাশ। সংগীত পরিবেশন করেন শিশু শিল্পীরা। এদিকে আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিল বৈচিত্রময় স্বকীয় পরিবেশনা। ছোটগল্প থেকে শোনান আবৃত্তিশিল্পী সুচিত্রা বৈদ্য।
এ সময় অনুষ্ঠানের নান্দনিক আবহে আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব কুমার শীল ও শর্মিলা বড়ুয়ার মঞ্চ ভাবনা–পরিকল্পনায় সাজসজ্জা রূপায়ন ও দৃশ্যায়নে ছিলেন সৃষ্টি বড়ুয়া ও শ্রেয়সী বড়ুয়া। তাতে অনুষ্ঠানস্থলের শ্রীবৃদ্ধির মুহুর্ত ফুটিয়ে তোলেন চিত্রশিল্পী তিতলি কারণ ও অর্ণব মহাজন সপ্তর্ষী। সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী পল্লব গুপ্ত।
আবৃত্তি করেন গৌতম চৌধুরী, ডা. নাবিল চৌধুরী, শিশির বড়ুয়া, সাজ্জাদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, ডেইজি চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।