হত্যা-আত্মহত্যার প্রবণতা-প্ররোচনা পরিত্যাজ্য

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১০ মে, ২০২৫ at ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবী নামক এই গ্রহে আধুনিক সভ্যতার বিকাশ পরিক্রমায় বিজ্ঞানপ্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। বিপরীতে উৎপাদন ব্যবস্থার মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত উপরি কাঠামো বা সংস্কৃতিউপসংস্কৃতিঅপসংস্কৃতির মোড়কে তথ্য ও জ্ঞানের অপব্যবহারঅপপ্রয়োগে সমাজে অতিমাত্রায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিরও উন্মেষ ঘটছে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অসম ব্যবধান শুধু ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে হতাশাঅতৃপ্তির হাহাকার তৈরি করছে না; পুরো সমাজকে মারাত্নক মনস্তাত্ত্বিক সঙ্কটের মুখোমুখি করছে। জীবনজীবিকার দোলাচলে মনুষ্যত্বমানবতা প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন কূণ্যতা অরাজক পরিবেশে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস চরম দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হচ্ছে। হত দরিদ্রদরিদ্রনিম্নবিত্তমধ্যবিত্তউচ্চবিত্ত ক্রমানুসারে বিশ্বায়নের লুম্পেন ভোগবাদী বাণিজ্যের আগ্রাসন থেকে নারীপুরুষধর্মদলমত নির্বিশেষে কেউ মুক্ত থাকতে পারছে না। প্রতিনিয়ত নবতর সংস্করণে শিশুকিশোর অপরাধ, মাদকের প্রকরণে ভয়ানক পরিবর্তনশীলতা, সামাজিকরাজনৈতিকধর্মীয় নানামুখী সমস্যা মোকাবেলায় প্রকৃত অর্থেই সমগ্র জাতিরাষ্ট্র পর্যুদস্ত। স্বল্পোন্নত দেশের গন্ডী পেরিয়ে উন্নত বিশ্বের মহাসড়কে দেশের যাত্রাপথে পরিশুদ্ধ দক্ষ মানবসম্পদ উৎপাদনে অপাংক্তেয়অনাকাঙ্খিতঅনভিপ্রেত ঘটনা অন্তরায়প্রতিবন্ধকতার প্রতিনিয়ত দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মাণ পরিলক্ষিত। নির্মোহনৈর্ব্যক্তিকবস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণে চলমান হত্যাআত্মহত্যা দৃশ্যাদৃশ্যের স্বরূপকারণ চিহ্নিতকরণ এবং সুসংগঠিতপরিকল্পিত কর্মকৌশল অবলম্বনে এর উত্তরণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

আস্থা ও বিশ্বাসের আশ্রয়স্থল হিসেবে তরুণ প্রজন্মের জন্য জাতীয় আদর্শসমসাময়িক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব গঠনের আনুষঙ্গিক বস্তুঅবস্তুগত উপাদান নির্ধারণে সময় ক্ষেপণের কোন অবকাশ আছে বলে মনে করি না। অন্যথায় বাংলাদেশসহ পুরোবিশ্বকে অদূর ভবিষ্যতে কঠিন মূল্য দিতে হবেনির্দ্বিধায় তা বলা যায়। হত্যাআত্মহত্যার মত ঘটনাপঞ্জীর নিগূঢ় পর্যবেক্ষণ এবং পরিত্রাণে যথোচিত পন্থার উদ্ভাবন অনস্বীকার্য। মনঃসমীক্ষণের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েড আত্মহত্যার বিষয়ে বলেন, ‘যখন ভালোবাসার মানুষের প্রতি সৃষ্ট তীব্র রাগ ও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিজের প্রতি ধাবিত হয়, তখন মানুষ আত্মহত্যা করে। অন্যকে হত্যা করার সুপ্ত কামনা যখন অবদমিত হয়, তখন সেটা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়। মানুষের মধ্যে একটি শক্তি তাকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আরেকটি তাকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এই ধ্বংসাত্মক শক্তির কারণেই আত্মহননের প্রবণতা মানুষকে বিপথগামী করে। আত্মহত্যাকারীর মধ্যে হত্যানিহত হওয়ামৃত্যুর কামনা লক্ষ্য করা যায়।’ সমসাময়িক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ধরনগুলোর অন্যতম হচ্ছে আত্মহত্যা। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেশে ও অঞ্চল ভেদে ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করছে। সমকালীন আত্মহত্যার স্বীকৃত উদাহরণ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেপ্যাক্ট সুইসাইড, ম্যাস সুসাইড, প্যারাসুইসাইড, অনার সুইসাইড, ডিউটিফুল সুসাইড, ইউথানসিয়া, মার্ডার সুইসাইড বা মার্সি কিলিং, সুসাইড অ্যাটাক ইত্যাদি। দেশের বিজ্ঞজনের প্রচলিত ধারণায় পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনে অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয়, মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে প্রতিবছর দশ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পরিকল্পনা করা ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে বেঁচে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এর কয়েক গুণ বেশি। আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণকারীদের ৫৮ শতাংশের বয়স পঞ্চাশ বছরের কম। সমগ্র বিশ্বে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে আত্মহত্যাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে সারাবিশ্বে প্রতি একশ মৃত্যুর ১.৩ শতাংশ ছিল আত্মহত্যাজনিত। ঐ বছর আত্মহত্যার ৭৭ ভাগই ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। আত্মহত্যার প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। বাংলাদেশে প্রতিবছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখের মধ্যে বছরে প্রায় ৬ জন আত্মহত্যা করে থাকেন। বিগত ১২ বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে আত্মহত্যার হার প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। ২০১৯২০ সময়কালে করোনার সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০৩৫ বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিক সময়ে মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি হলেও এই সময়ে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ ছিল তিন গুণ।

গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি ২০২১’ শীর্ষক সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক প্রকাশিত বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আত্মহত্যা প্রবণ দেশ। বিশ্বব্যাপী ১৯৯০২০২১ সালের মধ্যে আত্মহত্যার হার কমলেও বাংলাদেশে এটি এখনো গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় আত্মহত্যার হার ছিল প্রতি লাখে ১১ দশমিক ৪ যা বৈশ্বিক গড় ৯ দশমিক ০ শতাংশের চেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে আরো উপস্থাপিত যে, ১০২৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ আত্মহত্যার হার বাংলাদেশে। ৩০৪৯ বছর বয়সী নারীদের হারও আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। তাছাড়া ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি বাংলাদেশে। বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান মতে, ১৩১৯ বছরের বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ের শুরু থেকে কিশোরকিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেযে বেশি। ২০২৪ সালের মোট আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে প্রায় ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ এ বয়সসীমার। এরপরে রয়েছে ২০২৫ বছরের যুবকযুবতিরা। ১১২ বছরের শিশুদের মাঝেও আত্মহত্যার মানসিকতার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সবচেয়ে কম আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে ২৬৩০ বছর বয়সের মানুষ।

আমরা সম্যক অবগত আছি যে; সামাজিক উত্তরাধিকাররূপে বিবেচ্য মানুষের প্রবাহমান জীবনধারা অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে থাকে। শৈশবকাল থেকেই শিশুকিশোরদের মধ্যে সমাজে আদর্শিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি, আচারআচরণ এবং ভাষার মাধ্যমে ভাব প্রকাশের দ্যোতনায় প্রতিফলিত হয় ভবিষ্যৎ জীবনের কর্মপ্রেষণা। অভ্যাস যে শেষ পর্যন্ত স্বভাবে পরিণত হয় তা কিন্তু কারো অজানা নয়। অত্যন্ত সূক্ষ্ণ ও অবিচ্ছিন্নভাবে সামাজিক মূল্যবোধগুলো আত্মস্থ করার মধ্যেই সুস্থ ও সুষ্ঠু সমাজস্থ লোকের মননচিন্তন ও আবেগের অবিচ্ছেদ্য সংযোগ স্থাপিত হয়। শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত সুসংহত চিন্তাভাবনা ও কাজকর্মের মধ্যে পরিপূর্ণ সঙ্গতি নির্ধারণ পরিবারসমাজরাষ্ট্রের উপর বর্তায়। মনোপ্রকৃতির সঙ্গে সমাজপ্রকৃতির বৈপরীত্য ঘুচিয়ে সমাজ নির্দিষ্ট সত্যসুন্দরকল্যাণ ধারার পথ অনুসরণ ব্যতিরেকে আধুনিক যুগোপযোগীমননশীলসৃজনশীলনান্দনিকদেশপ্রেমের মনোবৃত্তি উদ্ঘাটন কোনভাবে সম্ভব নয়। পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে যুগবয়ঃসন্ধিকালের উদ্ভূত জীবনপ্রবাহের গতিপ্রকৃতির সাথে ব্যবচ্ছেদ অসঙ্গতিবিচ্যূতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে পরিবারসমাজ কর্তৃক ব্যাপক কর্তৃত্ববাদী আনুগত্যের প্রতিকূলে পারস্পরিক সখ্যতাভালোবাসাসম্প্রীতির বন্ধনই সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।

বিশ্বখ্যাত ফরাসী সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম আত্মহত্যা বিষয়টিকে সমাজবিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে নিবিড় গবেষণায় সামাজিক সংহতির সূচকরূপে ব্যবহার করেন। তাঁর বিবেচনায়; রোমান ক্যাথলিকদের চেয়ে প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে আত্মহত্যার হার উচ্চতর। বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিত, বেসামরিকের চেয়ে সামরিক ব্যক্তিদের, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার চেয়ে উন্নতি বা মন্দার সময়ে আত্মহত্যার হার উর্ধ্বমুখী থাকে। তিনি মত প্রকাশ করেন যে, ব্যক্তি ও সমাজ ব্যবস্থার সম্পর্কের পরিমাপে আত্মহত্যার ইচ্ছা সক্রিয় থাকে। ব্যক্তির অবস্থান দু’টি বিপরীত মেরুতে বিস্তৃত হলে আত্মহত্যার মনোভাব অধিকতর প্ররোচিত হয়। এমিল ডুর্খেইম’র বিবেচনায় ‘পরার্থ’-‘আত্মকেন্দ্রিক’-‘আদর্শবর্জিত’ তিন ধরনের আত্মহত্যাই প্রণিধানযোগ্য। সমাজের সাথে ব্যক্তির অতিমাত্রায় ঘনিষ্টতার কারণে সংগঠিত হয় ‘পরার্থ’ আত্মহত্যা। সমাজের আদর্শস্বার্থ বহির্ভূত শুধুমাত্র স্বকীয় ভাবনাকেন্দ্রিক বিচ্যূত প্রবণতা ‘আত্মকেন্দ্রিক’ আত্মহত্যা এবং আশাআকাঙ্খা ও আচারআচরণকে যথাযথভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ ব্যক্তিমানুষ নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন প্রেষণায় ‘আদর্শবর্জিত’ আত্মহত্যার প্রকরণে বিশেষিত। তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে বিবাহবিচ্ছেদ সহজতর বা অনুমোদিত সেসব দেশে আত্মহত্যার হার অধিক। মোদ্দাকথা আত্মহত্যার হারসামাজিক সংহতির গভীর প্রতিকূলতার সহ সম্বন্ধ আত্মহত্যার গতিপ্রকৃতি নির্ণয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

উপরোল্লেখিত বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক তথ্যউপাত্তপরিসংখ্যান পর্যালোচনায় এটি প্রতীয়মান হয় যে, সমাজে কোন একটি বিশেষ কারণে আত্মহত্যার উর্ধ্বনিম্নমুখী হার নির্ভর করে না। বাংলাদেশে করোনাকালীন দু:সময়ে আত্মহত্যার যে দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে তার পিছনে আর্থিক দৈন্যতা, নিরাপত্তাহীনতা, অপ্রতুলপ্রত্যাশিত কর্মসংস্থান, বাল্যবিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, পরকীয়া, মাদক, অপ্রকৃতস্থ বিনোদন, মানসিক অস্থিরতা, বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক অরাজকতার ভব্য অজানা আশঙ্কায় আত্মহত্যার হার অপ্রতিবন্ধ অগ্রগতিতে এগিয়েছে। তরুণদের সম্মুখে জাতিরাষ্ট্রসমাজপরিবার স্থিতিশীল টেকসই আদর্শ প্রতিস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারণা। আইনের অপব্যাখ্যাঅপশাসন ও অপপ্রয়োগ সংঘটিত অপরাধ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও যথোপযুক্ত প্রয়োগে বহুলাংশে সফলতা অর্জন করতে পারেনি। সমাজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বা উন্নততর জীবন গঠনে কলুষমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখ্য বিষয়সমূহের নেতিবাচক উপাদান গভীর রেখাপাত করে চলছে। সমাজপরিবার বা রাষ্ট্র প্রশাসনের উপর তাদের আস্থার জায়গাটুকু অনেকটা শিথিল হয়ে যাওয়ায় প্রথমত ধার্মিক এবং ধারাবাহিকভাবে নানা কৌতুহল তারুণ্যের প্রাণস্পন্দনকে অন্যভাবে প্রবাহিত করার দৃশ্যপট সুস্পষ্ট হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে নিগূঢ়তম বিচারবিশ্লেষণগবেষণাঅনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য যুক্তিজ্ঞাননির্ভর পরিচর্যায় সহজে বোধগম্য জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সঠিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অন্যথা হলে দেশ অচিরেই ভয়ানক অন্ধকারের গহ্বরে নিপতিত হবে। দ্রুততর সময়ের মধ্যে সহজপ্রাপ্য কথিত সামাজিক যোগাযোগ, ইন্টারনেট, ফেসবুক ইত্যাদির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে হত্যাআত্মহত্যার বিষয়ে জাতির প্রগাঢ় মনোযোগ অতীব জরুরি।

লেখক

শিক্ষাবিদ, সমাজঅপরাধবিজ্ঞানী

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅসাধারণ ইল্‌ম ও বেলায়ত সমৃদ্ধ মহান ওলী আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্‌ সিরিকোটী (রাহ.)
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বাস-টেক্সির সংঘর্ষে প্রাণ গেল বৃদ্ধের