জলের বুক চিরে চলে এক ছোট্ট নৌকা,
যার পেট ভর্তি কান্না– তবু সে গায়,
গায় কেবল ঢেউয়ের ভাঙা সুরে,
আর দোল খায় কোন চাঁদহীন পাথেয়র দিকে।
জেলে সে, যার চোখে আকাশ ঘোরে
তবু সে তাকায় না নক্ষত্রের দিকে
তাকায় জালের ফাঁকে, মাছের ছায়ায়
যেখানে অন্ন আর অনিশ্চয়তা
পাশাপাশি সাঁতরে চলে।
তার নৌকায় নেই দিকচিহ্ন,
তবু সে জানে কোথায় থামে বাতাস,
কোথায় ফেটে পড়ে জল
আর কোথায় ঢেউয়ের ভেতরে লুকানো থাকে
সন্তানসম কান্না।
সারারাত ধরে তার পাশে জেগে থাকে শুধু কিছু নক্ষত্র,
যারা কথা বলে না,
শুধু জেগে থাকে, ঠিক যেমন তার স্ত্রীর চোখ
যেখানে ঘুম নেই, আছে শুধু জলের প্রতীক্ষা।
জীবন তার এক ধরনের জার,
কোনো দিন পূর্ণ, কোনো দিন খালি
তবু ভোর হলে সে আবার পাড়ে বেয়ে নামায় নৌকা,
যেন দুনিয়ার জলের তলায় সে লিখে চলে
একটি অসমাপ্ত মহাকাব্য–নৌকা আর নক্ষত্র দিয়ে।