বারজন বন্ধু মিলে গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিল রাঙ্গুনিয়ার তরুণ আরাফাত হোসেন (২২)।
বুধবার (৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসল করতে নামলে অনেকটা দূরে চলে যায় সে। বন্ধুরা তাকে ফিরে আসতে ডাকাডাকিও করেন। এসময় হাত দেখিয়ে আসতেছি বলেও, আর আসা হলো না আরফাতের।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানির নিচে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। বিচ কর্মী এবং লাইফ গার্ডের যৌথ সহযোগিতায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আরফাত রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘাটচেক গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কামালের ছেলে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই তরুণ পর্যটক মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, পরিবারে এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন আরাফাত। প্রবাসী বাবার সন্তান আরাফাত কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। বন্ধুদের সাথে উৎফুল্লতা নিয়ে বেড়াতে যাওয়া আরাফাতের এমন মৃত্যুতে ভ্রমণের আনন্দ বিষাদে রূপান্তরিত হয়।
তার সাথে বেড়াতে যাওয়া মামাতো ভাই মো. জীবন জানান, চারদিনের সফরে তারা বার জন একসাথে কক্সবাজার গিয়েছিলেন। এদিন দুপুরে সবাই একসাথে পানিতে নেমেছিলেন। এরমধ্যে আরাফাত গোসল করতে গিয়ে অনেকটা দূরে চলে যায়। তাকে ডাক দেয়া হলে হাত দেখিয়ে ফিরে আসছেন বলেও জানান। তবে আর আসা হলো না, এলেন লাশ হয়ে। খুঁজতে খুঁজতে পানির নিচে তার নিথর দেহ পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিল নজরুল ইসলাম জানান, বেড়াতে যাওয়া বন্ধুদের সাথে তার নিজ সন্তানও গিয়েছিলেন। আরাফাত খুব ভালো ছেলে ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মরদেহ বিনাময়নাতদন্তে পাওয়ার জন্য স্বজনরা কক্সবাজারে গিয়েছেন। নিজ গ্রামে তার লাশ দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।