শুভ্রকেশ কিংবা মেহেদী রাঙানো কোনো কিছুই ৫০ পেরোনো মানুষগুলোকে সেই কৈশোরে ফিরে যাওয়া আজ আটকাতে পারেনি। সবার হৈচৈ পড়ে রেস্টুরেন্টের ওয়েটার থেকে আসা বারণ শুনেনি কেউ কিংবা কর্কট মেজাজের হাশেম স্যারের বেত নিয়ে এসে ভয় দেখানো কোনো কাজে দিত কিনা সন্দেহ। সবার যেন ফিরে পাওয়া সেই কৈশোর ১২ থেকে ১৬। আজ যেনো সবাই ‘সুইট সিঙটিন’। একে একে সবার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সেই নিশ্চুপ ছেলে কর্পোরেট বনে যাওয়া অসাধারণ খেলন বড়ুয়ার আতিথেয়তায় আমরা হাবিলাসদ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ‘৮৮ ব্যাচ মিলিত হলাম সিআরবি চট্টগ্রামস্থ তাসফিয়া গার্ডেন রেস্টুরেন্টে। সবার মধ্যমনি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহেরকে ঘিরে, যে অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে এড়াতে পারেনি কোনো ভাবে, কেমনে এড়াতে পারে নিজেকে, যাকে তার জেদ নিয়ে গেছে অনন্য শিখরে। ধরা পড়েছে সে ইসমাইল জসীমের কথার জালে। পারেও নি সে এড়িয়ে যেতে পুরো ব্যাচের সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে নেওয়ার দায়িত্ব থেকে। কিংবা আরেক কমেডিয়ান আলখেল্লাহ পরিহিত গিটার আবু তাহেরের কথোপকথনে ধরা পড়ে ইয়াছিন। গোছানো কাশেম, গুটিয়ে থাকা সেলিম, রংবাজ আনন্দে ভরপুর আনিস, নির্বাক চেয়ে থাকা ধীমান বড়ুয়া বয়সের ভারে ন্যুজ, রাজনীতির পোড় খাওয়া বিদেশ ফেরত শামীম, হাবিলাসদ্বীপের প্রদ্যুৎ রানা, সূক্ষ্ম পলিটিশিয়ান ব্রাক্ষণ সঞ্জীব, ফলমন্ডীর জসিম, কিংবা মধ্যমনি আজকের আয়োজক পাচুরিয়ার মেডিসিন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ওরফে জসীম, আরেক সঙ্গী আমার অনেক কাছের মানুষ জাহাঙ্গীর, কী এক অনুভূতি সবাই সবাইকে নিয়ে! এরমধ্যেই সুর কাটে হারানো বন্ধুকে নিয়ে বিদ্যুৎ, কাজল, মুকুল, সাহাবুদ্দিন আরো কয়েকজন বন্ধুর স্মৃতিচারণ করে। কত কথা, কত স্মৃতি সবার সম্মিলিত প্রয়াসে একত্রিত হাওয়ার যে প্রত্যয়ে আজকে আমাদের মিলিত হওয়া যেন ব্যর্থ না হয় তার দায়িত্ব আজকে আমারা যারা বসে তাদের সবার কাঁধে। এসো বন্ধু মিলি প্রাণে, বাঁচি ভালোবাসার বন্ধনে। অনুষ্ঠানে বাড়তি পাওনা ছিলো ইসমাইল জসীমের প্রকাশিত বই এবং তার সম্পাদিত কিশোরশৈলী।