স্বজনদের কাছে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অর্থ আগের মাসের রেকর্ড ছাপিয়ে না গেলেও রেমিটেন্স পাঠানোর হারে উল্লম্ফন বজায় রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিলে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। ব্যাংকিং চ্যানেলে এপ্রিলে প্রবাসীদের পৌনে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠানোর তথ্য গতকাল রোববার দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। আগের বছর একই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিটেন্স আসা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর আগের মাস মার্চে রোজার ঈদকে ঘিরে প্রবাসীরা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছিলেন, যা একক মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে তা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় টানা নয় মাস ২ বিলিয়নের ওপর রেমিটেন্স এসেছে। এতে করে চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট রেমিটেন্স এসেছে ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯ দশমিক ১২ বিলিন ডলার। এ হিসাবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে।
রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা বজায় থাকার বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ডলার মার্কেট স্থিতিশীল হওয়ার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেশি আসছে।
চলতি বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ টাকা দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে। এমন প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ঠিক করে দেয়। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য এক টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনাবেচার সুযোগ রাখা হয়।
ব্যাংকাররা বলছেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ডলারের দর বেশি থাকায় এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে।