কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে মাইক্রোবাসে অস্ত্র নিয়ে নোয়াখালী যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া বাজারে চেকপোস্টে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন দুজন। চেকপোস্টে তল্লাশি করে মাইক্রোবাস থেকে একটি একনলা বন্দুক, একটি দেশীয় রাইফেল ও ছয়টি ওয়ান শুটার গান জব্দ করা হয়েছে। গত ২ মে বিকাল ৪টার দিকে বাঁশবাড়িয়া বাজারে মোকছেদ আলী শাওনের ফার্নিচারের দোকানের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশ বলছে, তারা পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী।
চেকপোস্টে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তাররা হলেন বরিশাল জেলার বিমানবন্দর থানাধীন ইছাকাঠি ইউনিয়নের মাঝি বাড়ির কাঞ্চন ঢালির পুত্র মো. মনির হোসেন (৪৫) ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন রামনারায়ণ ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া শাম উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. মনির হোসেন (৪৮)।
গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর ষোলশহর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সিরাজুল ইসলাম। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২ মে বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে কক্সাবাজার জেলার মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকা থেকে কিছু দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতুকে অবহিত করা হয়। তার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দলের সমন্বয়ে অপারেশন প্ল্যান প্রস্তুত করে থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়।
এক পর্যায়ে সীতাকুণ্ড থানাধীন বাঁশবাড়িয়া বাজারে মোকছেদ আলী শাওনের ফার্নিচারের দোকানের সামনে চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করার সময় একটি যাত্রীবাহী কালো রঙের মাইক্রোবাস থামানোর জন্য সংকেত দিলে মাইক্রোবাসটি আঞ্চলিক মহাসড়ক হতে বাম দিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা করলে গোয়েন্দা শাখার পুলিশ সদস্যরা মাইক্রোবাসটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়–বিক্রয় করে এবং উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রসমূহ মহেশখালী থানা এলাকা থেকে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নোয়াখালী নিয়ে যাচ্ছিলেন।
মাইক্রোবাসের ড্রাইভার ও তার সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তাদের মাইক্রোবাসের বিভিন্ন জায়গায় সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় কিছু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তখন সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মাইক্রোবাসের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ৬টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দেশীয় তৈরি রাইফেল ও ১টি একনলা বন্দুক জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।