উপকূলে ‘৯১–এর জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবের ৩৪ বছর পরেও অরক্ষিত কক্সবাজারের দ্বীপ কুতুবদিয়া। স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় আতংকিত দেড় লক্ষ সাধারণ মানুষ। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ২০ ফুট পানি বয়ে যায় দ্বীপের ওপর দিয়ে। ওই দিন ভেসে যায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ। উপকূলের শোকাবহ এই দিনে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রামস্থ কুতুবদিয়া সমিতি। টেকসই বেড়িবাঁধ ও ফেরি চলাচলের দাবিতে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। এ সময় ‘আমরা বেড়িবাঁধ চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই’, ‘আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই, কথা নয় কাজ চাই’, ভাঙছে কুতুবদিয়া, ভাঙছে আমাদের ঘর’সহ নানান ধরনের ফেস্টুন দেখা যায়। বক্তারা বলেন, আমাদের দ্বীপে যাওয়ার জন্য এখন শুধু স্পিডবোট এবং ডেনিশ আছে। যা বর্ষাকালে যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টকর। এ পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের কাছে সি–ট্রাক এবং ফেরি ব্যবস্থারও দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা অবিলম্বে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতসহ টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক সিদ্দিকী বাচ্চু। আকবর খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা শফিউল আলম, উপদেষ্টা মাস্টার মোজাম্মেল হক, প্রফেসর ডক্টর কামাল হোসাইন, মাওলানা মুনিরুল মান্নান, এস এইচ মোক্তার আহমদ, শাকের উল্লাহ বিএসসি, মো. শরীফ, এ. এস. এম ইসমাইল খান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।