নীল নীল স্বপ্নে বিভোর কবির মনের গহীনে জন্ম নেয়
ফুটফুটে জোছনার মতো কবিতা
তারপর বেড়ে ওঠে ক্রমে– কবির অকৃত্রিম ভালোবাসায়
শৈশব কৈশোর পেরিয়ে দীপ্তদামাল কবিতা
মুক্তির গান গায়, যুদ্ধে যায়
হায়েনারা যুদ্ধে বন্দী করে কবিতাকে
কবুতর বলে চোখ বেঁধে ছুঁড়ে ফেলে ডাস্টবিনে
হিংস্র খাদকগুলো তেড়ে আসে জোঁকের মতো
কবিতা আর্তনাদ করে–
‘আমাকে বাঁচতে দাও
আমাকে দেখতে দাও
আমাকে বলতে দাও…।’
সহসা পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া ফুলের কেশর হতে ছুটে আসে
সালাম, জব্বার, রফিকের মতো অগণিত কবিতার সৈনিক
স্বর্গদূতের মতো আহবান করে–
কবিতা হাত ধরো
জাগো পুনর্বার
কবিতা জেগে ওঠে প্রবাহিত হয় মানুষের শিরায় শিরায়।
মানুষরূপী হায়েনারা থমকে দাঁড়ায় স্তব্ধতায়
সমাবেত কবিতার সৈনিক কণ্ঠ গর্জে ওঠে –
মহোদয় কবিতাকে কবুতর বলে নিজের অজান্তে
যে শান্তির প্রতীকী উচ্চারণ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ
আর কোন অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা নয়–
আমরা জেগে আছি কবিতার সমাবেত সৈনিক
এন্টিক্রাফটের মতো গর্জে উঠবো আমরা
গ্রেনেডের মতো ফেটে পড়বো প্রান্তরে
সাবধান মহোদয় সাবধান! সাবধান!