প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ২৮টি গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার হাটহাজারীর পেশকারহাটের কদল চৌধুরী বাড়ি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০২৪ সালের দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রামের তিন উপজেলা মীরসরাই, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির শতাধিক ঘর–বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হিসেবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘর পুন:নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে আর্থিক সঙ্গতিহীন পরিবারের নিজ বসতভিটায় সরকারিভাবে টেকসই ঘর নির্মাণের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উপযুক্ত উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে হাটহাজারীর ১০টি, মীরসরাইয়ে ১০টি এবং ফটিকছড়ির ১০টিসহ মোট ৩০ টি পরিবারের তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। ফটিকছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড, মীরসরাই উপজেলায় ৮ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এবং হাটহাজারী উপজেলায় ১৫ আইএএস কর্তৃক ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ টি বাসস্থান গতকাল হস্তান্তর করা হয়।
নির্মিত প্রতিটি ঘরে ২টি মূল কক্ষসহ কমন স্পেস, টয়লেট, রান্নাঘর প্রভৃতি রয়েছে। সেমিপাকা ঘর হিসাবে উপকাভোগীর নিজ বসতভিটার স্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২টি ডিজাইনের ৪৯২ বর্গফুট ও ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এ ঘরসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভবিষ্যতে দুর্যোগের সময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি নতুন ঘর পাওয়া সবাইকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।