আদালত ভবন থেকে পালাল দুই আসামি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

আদালতে হাজিরা শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় পালিয়েছেন দুই আসামি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নিচতলার হাজতখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন লোহাগাড়া থানার উত্তর কলাউজান এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে ইকবাল হোসেন ইমন ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কামাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন।

ইকবাল হোসেন লোহাগাড়া থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। গত জানুয়ারি মাসে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন সীতাকুণ্ড থানায় গত এপ্রিলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি। ঘটনার পর দুই আসামির খোঁজে সম্ভাব্য জায়গায় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তিন সদস্যের একটি টিম। তারা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি।

দুই আসামির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাসেল। তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিকে খুঁজে বের করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কাদের গাফিলতি রয়েছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা সব রকম বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাদের বিশেষ টিম দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। এখনো (গত রাত ৯টা) আমাদের টিম মাঠে রয়েছে। তাদের যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান চলবে। আদালত সূত্র জানায়, পালিয়ে যাওয়া দুই আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। গতকাল মামলার ধার্য্য দিন থাকায় তাদেরকে চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষে তাদের নতুন আদালত ভবনের নিচে থাকা জেলা পুলিশের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে অন্য আসামির সাথে তাদের ফের কারাগারে নেওয়ার জন্য হাজতখানা থেকে বের করা হয় এবং প্রিজন ভ্যানে তোলার জন্য লাইনে দাঁড় করানো হয়। লাইনে মোট ৪২ আসামি ছিলেন। প্রত্যেকের হাতে হাতকড়া ছিল। সেই হাতকড়া আবার একটি লম্বা রশিতে বাধা ছিল। একপর্যায়ে দেখা যায়, রশিতে হাতকড়া বাধা থাকলেও দুই আসামি নেই। তারা কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়েছেন। হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আসামিদের হেফাজতে জেলা পুলিশের ৫ জন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআদালতে জামিন চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আইয়ুব বাবুল
পরবর্তী নিবন্ধখালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ