পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার জনগণের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় কাপ্তাই লেককে কাজে লাগাতে হবে। কাপ্তাই লেক বর্তমানে আমাদের জন্য স্বর্ণের মতো। তাই সম্ভাবনাময় কাপ্তাই লেকসহ পর্যটনশিল্পকে কাজে লাগাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনী হলরুমে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সমপ্রীতির বন্ধনে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বৃহত্তর জাতিগোষ্ঠী এগিয়ে আসতে গিয়ে ক্ষুদ্র কোনো জাতিগোষ্ঠী যেন বাদ পড়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কোনো ভেদাভেদ নয়, মৈত্রীর বন্ধনে এগিয়ে যেতে হবে। দেশটাকে সকল সমপ্রদায়ের অধিকার রক্ষাসহ অসামপ্রদায়িকভাবে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় আনতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে আমাদের নিজেদের গাফিলতির জন্যই অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম এগুচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষি বিভাগ অনেক ভালো কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কফি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ তত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী সহ অনেকেই। সেমিনারে তিন পার্বত্য জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।