জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অস্থায়ী বাঁধের কারণে পানিতে ডুবছে সড়ক

শেখ মুজিব রোড পরিদর্শনকালে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন  | শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারদের নির্মিত অস্থায়ী বাঁধের কারণে নগরের কোথাও কোথাও পানি উঠে সড়ক ডুবে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা দ্রুত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)-এর সংশ্লিষ্টদের অবহিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন নগরবাসীর প্রতি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে শেখ মুজিব রোডের ড্রেন ও কালভার্ট থেকে ময়লা ও মাটি উত্তোলন কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মেয়র। এসময় জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিধনে চসিকের জোর তৎপরতা চলছে দাবি করে জনগণকেও সচেতন থাকতে বলেন।

পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন। উপস্থিত ছিলেন চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এসময় মেয়র বলেন, আপনারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করুন, আমিও চেষ্টা করছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন জায়গায় নালা ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যথায় জনগণের উপকারে আসা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, মশার প্রজনন রোধে কোথাও ডাবের খোসা, বালতি বা নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এতে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। বাসায় টব কিংবা বালতিতে দুইতিন দিন পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় টব রেখে পানি জমালে সেখানেও লার্ভা জন্মায়। ডা. শাহাদাত জানান, মশার ওষুধের পূর্বের ঘাটতি মেটাতে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সংগ্রহ করা হয়েছে। নগরীতে বর্তমানে মশা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন সকাল ও বিকেল দুইবার করে মশকনিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি নিজেই মাঠ পর্যায়ে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছি। পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘টেডএক্স চুয়েট’
পরবর্তী নিবন্ধসদারঙ্গের উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন