অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কালিময় তনচংগ্যা ফার্মের মুরগির খামার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। স্থানীয় কামিলাছড়ি এলাকায় রয়েছে তাঁর ফার্মের মুরগির খামার। খামারে আছে কয়েক হাজার মুরগি। প্রথমবারেরমত মুরগির খামার করে তিনি সফলতা পাবার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন বলে আজাদীকে জানান।
কালিময় তনচংগ্যা বলেন, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কাপ্তাই উপজেলায় কর্মরত থাকার পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। অবসরে যাবার সাথে সাথে তিনি ১০ একর পাহাড়ে প্রথমে আনারসের বাগান সৃজন শুরু করেন। আনারস বাগানের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন মুরগির খামার। এই মুরগির খামার থেকে যতটা আশা করেছিলেন তার চেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
কলিময় তনচংগ্যা আরো বলেন, আনারস ও মুরগির খামারের সাথে সাথে তিনি মাছের চাষ প্রজেক্টেও হাত দিয়েছেন। মুরগির খামার সংলগ্নে একটি পুকুরে তিনি মাছের চাষ শুরু করেছেন। রুই কাতালসহ বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা পুকুরে অবমুক্ত করেছেন। আগামী মাস থেকে (মে মাস) কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা বন্ধ হলে তিনি তাঁর পুকুর থেকে মাছ ধরা শুরু করবেন বলে জানান।
কালিময় তনচংগ্যা বলেন, তিনি প্রথমবারেরমত আনারস বাগান সৃজন করে সফলতা পেয়েছেন। আনারস বাগানের পাশাপাশি মুরগির খামার করেও ভালো সফলতা পেয়েছেন। এবার মাছের খামার থেকেও ভালো আয় করার প্রত্যাশা করেন কালিময় তনচংগ্যা। তিনি জানান, আগামী বছর আমি আরো বেশি পরিমান পাহাড়ে আনারস বাগান সৃজন করব। এবং মুরগির খামারকেও আরো বড় আকারে গড়ে তোলার করার ইচ্ছার কথা আজাদীকে জানান, কালিময় তনচংগ্যা। তিনি বলেন, তাঁর বাগানে বিপুল পরিমান পেয়ারা, বরই, পেঁপে ইত্যাদি ফলের গাছ রয়েছে। আগামী বছর প্রতিটি গাছ থেকে তিনি বিপুল পরিমান ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
কালিময় তনচংগ্যা বলেন, অনেকে চাকরি থেকে অবসরে যাবার পর কোন কাজ খুঁজে পাননা। তাঁদের কোন কাজ থাকেনা। কিভাবে সময় কাটাবেন ভেবে না পেয়ে হতাশায় থাকেন। অলস সময় কাটাতে কাটাতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তিনি যেদিন অবসরে গেছেন সেদিন থেকেই তিনি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন বলে জানান। এখন তিনি চাকরি জীবন থেকে আরো বেশি পরিমাণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ১০/১২ জন শ্রমিককে তিনি কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর এক পুত্র সন্তান একটি সরকারি কলেজে প্রভাষকের দায়িত্বে থাকা সত্বেও তিনি কৃষি কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। অবসর জীবনে অযথা অবহেলায় সময় নষ্ট না করে সবাইকে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবার আহবান জানান কালিময় তনচংগ্যা।