সি–ট্রাক চালুর মাধ্যমে মহেশখালী–কক্সবাজার নৌ–রুটের ফেরিঘাটটি মাফিয়া মুক্ত হলো। যাত্রী সাধারণ এখন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন। সিন্ডিকেট ভেঙে এখানে বিআইডব্লিউটিএ–এর পন্টুন বসিয়ে সি–ট্রাক সার্ভিস চালু করতে আমার আট মাস লেগেছে। অচিরেই এখানে আরও একটি সি–ট্রাক সংযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল মহেশখালী জেটি ঘাটে সি–ট্রাক উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজারের ৬ নম্বর ঘাটে সি–ট্রাক এস.টি ভাষা শহীদ জব্বার উদ্বোধন শেষে একই সি–ট্রাক যোগে তিনি মহেশখালী যান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্লাহর উপস্থাপনায় সুধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল হাসেম, বিআইডব্লিউটিএ সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) ড. মো. জিয়াউল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো, সাইফ উদ্দিন শাহীন, বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক (বন্দর) একেএম আরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার ও বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার (কস্তুরাঘাট) নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান, কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা অধ্যাপক মকবুল আহমদ, আব্দুস শুক্কুর, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের যদি উন্নয়ন না হয়, তাহলে ঢাকায় মেট্রোরেলে চড়ে কোনো লাভ নেই। উন্নয়ন করতে চাই কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে যে মামলা করা হয়, তাতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে মহেশখালী যাতায়াতের ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে ৩৫ টাকা। অন্যদিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে মহেশখালী যেতে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। উভয় ঘাটের যেকোনো এক দিক থেকে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা টোল আদায় করতে হবে। কোনো অবস্থাতে দুই দিকে টোল আদায় করা যাবে না। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে ইজারা বাতিল করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সি–ট্রাক চলাচলের সময়সূচি : কক্সবাজার থেকে মহেশখালী প্রতিদিন তিনবার করে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার সি–ট্রাকটি যাওয়া–আসা করবে। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় মহেশখালীর উদ্দেশে সি–ট্রাক ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া মহেশখালী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা এবং বিকাল ৫টায় সি–ট্রাক ছাড়বে। বিআইডব্লিউটিএয়ের কক্সবাজার নদীবন্দর (কস্তুরাঘাট) শাখার সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, আপাতত প্রতিদিন তিনবার করে সি–ট্রাক চলাচল করবে। যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।