বাঁশখালীতে লবণ মাঠ দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ২৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপকূলীয় সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের মধ্যে ২৭ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ ও একজনকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. সুস্মিতা চৌধুরী জানান।
গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন, সিরাজুল ইসলাম (৪০), শাহাব উদ্দিন (৪০), মো. আবসার (১৭), শাহাজাহান (৩৫), মো. তৈয়ব (৪২), মোবারক হোসেন (১৮), আবদুর ছবুর (৫০), শহীদুল কবির রাকিব (২০), ফয়সাল মোহাম্মদ (৩০), শাকিবুল ইসলাম (২৭), মো. হাবিবুল্লাহ (২৬), মো. হেলাল (৩৫), রাসেদ (২৬), মো. বোরহান (২০), আবু তালেব (৩৫), ফরিদুল আলম (৫২), ছৈয়দ নুর (৪৫), আনিসুর রহমান (৩৫), মো. শাকিল (২০), আজিজুর রহমান (৫০), জমির উদ্দীন (৫২), ইউসুফ (৫০), আজিজ (২২), ফোরকান (৩৫), মোহাম্মদ মাহিম (১৮), বেলাল উদ্দিন (৩০), নুর হোছাইন (৩৭), মোহাম্মদ রুবেল (৩০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরলের উপকূলীয় এলাকায় সরকারি খাস জায়গা ও লবণ মাঠ দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল মনসুর গ্রুপ ও আবুল হোসেন গ্রুপের মধ্যে। তারই জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উত্তর সরল এলাকার দেলোয়ার হোসেনকে লবণ মাঠ থেকে ফেরার পথে মারধর করা হয়। সে সরলের সাবেক মেম্বার জাফর আহমদের ছেলে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দেলোয়ারের পক্ষের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে হামলাপাল্টা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহারের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালীর উপকূলীয় সরলে দীর্ঘদিন ধরে লবণ মাঠ নিয়ে আবুল হোসেন ও মনসুর আলম দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বিগত দিনে অনেক বার উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তারপরেও এরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। আজকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আহতদের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খবরাখবর রাখা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ থানায় কোন মামলা কিংবা অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানান তিনি।