দুর্নীতি, হত্যা মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রীদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘প্রত্যাবাসন’ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, যারা যারাই অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, খুনের মামলা আছে তাদের ব্যাপারে আমরা সিরিয়াস এবং প্রত্যেকের আমরা প্রত্যাবাসন চাইব। তাদের বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা আমাদের এবং পরবর্তী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিবের কাছে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন–সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমপ্রতি কয়েকটি ছবি দেখেছি, যেখানে পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীরা লন্ডনে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভোজে অংশ নিচ্ছেন, বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে তো ফেরত চাওয়া হয়েছে, এই পলাতক মন্ত্রীদের ফেরত আনার ব্যাপারে আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
এর জবাবে পলাতক নেতাদের ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, এরা বাংলাদেশের মানুষের টাকা চুরি করে বাইরে গিয়ে মোজ–ফুর্তি করছেন। তাদের ফেরানো অবশ্যই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এই কাজটা আমরা করব। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতার হাতে ‘রক্ত লেগে আছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত। বড় বড় দুর্নীতিতে যুক্ত।
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইসলামপন্থি দলগুলোর আপত্তির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, প্রতিবেদনটি ঐকমত্য কমিশনে যাবে। তা নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ অনেকগুলো বিষয় রাজনৈতিকভাবে আলাপ–আলোচনার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে আমরা প্রতিবেদনের কতটুকু নেব, কতটুকু নেব না।