এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা এনসিটি টার্মিনাল কেন বিদেশিদের দেয়া হবে তা বোধগম্য নয়।

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এনসিটি বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নগর জামায়াতে ইসলামী। সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই। দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু সে বিনিয়োগ হোক গ্রিন ফিল্ডে। যেমন দেশের বিভিন্নস্থানে ইকোনোমিক জোনগুলোতে বিদেশিরা এসে বিনিয়োগ করছে। ঠিক তেমনি আমাদের বেটার্মিনাল হতে শুরু করে সীতাকুন্ডমীরসরাই ও মাতারবাড়িতে প্রচুর বিনিয়োগের সুবিধা রয়েছে। সেখানে বিনিয়োগ আসুক।

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কুনজর পড়েছিল এ টার্মিনালের উপর। দেশের অন্যতম অর্থ পাচারকারী ও শেখ পরিবারের প্রধান অর্থ যোগানদাতা সালমান এফ রহমান ব্যাংকসহ দেশের লাভজনক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সর্বশেষ এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। যে পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে একই পদ্ধতিতে এনসিটি টার্মিনালও বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে।

তিনি আরো বলেন, এই টার্মিনালের পাশে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সামরিক ঘাঁটি থাকায় বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দিলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। এ ছাড়া সর্বপ্রথম ট্যারিফ নির্ধারিত থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে আঘাত হানবে। দেশের অর্থনীতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর নায়েবে আমীর ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর এবং চট্টগ্রাম১০ সংসদীয় আসনের জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম৯ সংসদীয় আসনের জামায়াত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম১১ সংসদীয় আসনের জামায়াত প্রার্থী মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে গভীর রাতে ডাকাতি, গৃহকর্তাকে কুপিয়ে জখম
পরবর্তী নিবন্ধ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, লং মার্চের হুঁশিয়ারি