বাংলাদেশের নাগরিক সেবা খাতে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে জিও নেক্স। বহির্বিশ্বের প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে সূচনা হতে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়ের। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জিওনেক্স-এর প্রযুক্তিতে মুগ্ধ হয়ে, একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
উক্ত চুক্তি অনুসারে, নাগরিক সকলসেবা এখন থেকে প্রজেক্ট “শাপলা OSS” মাধ্যমে প্রদান করা হবে। জিওনেক্স-এর শতভাগ নিজস্ব অর্থায়নে কোন সাহায্য বা অনুদান ছাড়াই নিজস্ব “গফ ফ্লো” প্রযুক্তিতে পরিচালিত হবে “শাপলা OSS”।
বাংলাদেশে সাধারণ জনগণকে সরকারি সেবা পেতে হর হামেশায় নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। ভোগান্তি, বিলম্ব, ঘুষ আর দালাল নির্ভরতা যেন নিত্যদিনের গল্প। কোন বিড়ম্বনা ছাড়াই সকল সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে, যার নাম “শাপলা OSS”। নাগরিক সকল প্রয়োজনীয় সব সেবা, যেমন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ সিটি কর্পোরেশনের সকল ধরনের সেবাও পেমেন্ট এর সহজেই সম্ভব হবে। এর জন্য ব্যবহার করা হবে শক্তিশালী “গফ ফ্লো” প্রযুক্তি। ইতিমধ্যে যা দুবাই, আজমান, ম্যাক্সিসোসহ আরও উন্নত দেশে ব্যবহার হচ্ছে।
চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে “JIONEX – জিওনেক্স” ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। উক্ত প্রোগ্রাম উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সচিব আশরাফুল আমিন, জিওনেক্স-এর সি.ই.ও. সাখাওয়াত জিসান, সি.টি.ও. উমর মারস ও চসিক এবং জিওনেক্স-এর অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, “শাপলা OSS” এর মাধ্যমে মানুষের সময় ও টাকা সাশ্রয়ী হবে।আস্তা ফিরে আসবে সরকারি সেবাতে। জন্ম নিবন্ধন থেকে ট্রেড লাইসেন্স, বিল পেমেন্ট থেকে নাগরিক সনদ সবই হবে এখন হাতের মুঠোয়।“
জিওনেক্স এর সি.ই.ও. “সাখাওয়াত জিসান” আরও বলেন ”চট্টগ্রাম থেকে শুরু হলেও এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এভাবেই একদিন বদলে যাবে সরকারী সেবা নেয়ার সংস্কৃতি। এভাবেই একদিন বদলে যাবে বাংলাদেশ।”