মহেশখালী কক্সবাজার নৌপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। একই সাথে মহেশখালী ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে পন্টুন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে সী-ট্রাক চালু করা হয় এবং ঘাটে পন্টুন স্থাপন করা হয়। সী-ট্রাক যাত্রা শুরুর প্রায় ৩৫ মিনিট পর সী-ট্রাকটি মহেশখালী জেটিতে পৌঁছালে স্থানীয়রা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
স্থানীয় তরুণ নুরুল আবছার বলেন, এই রুটে স্পিডবোটে যাতায়াতের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে তরুণ’রা। তারই অংশ হিসেবে দুর্ঘটনা রোধে সী ট্রাক চালুর বিকল্প ছিল না। এটি চালুর ফলে মহেশখালীর মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। এ সময় সী ট্রাকটিকে দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে উল্লেখ করেন সমবেত তরুণরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাবি (বিআইডব্লিউটিএ), গত ১৫ বছর ধরে একটি সিন্ডিকেটের বাধায় এই রুটে সী-ট্রাক চালু করা যায়নি। এ নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক প্রশাসন এ.কে.এম আরিফ উদ্দিন বলেন, আজ থেকে কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলক সি-ট্রাক চালু হয়েছে। পরে অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে সী-ট্রাক ভিড়েছে মহেশখালী জেটি ঘাটে। স্থাপন করা হয়েছে পন্টুন। মহেশখালীর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবো।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি-এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, আমাদের দ্বীপবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে সী-ট্রাক চালু করার। অবশেষে আজ সে স্বপ্ন ধরা দিয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ কেটে যাবে।
এই নৌ রোটে সী-ট্রাক সার্ভিস চালুর সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেন, মহেশখালী দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে নিরাপদ যাতায়াত জন্য এই সী-ট্রাক সার্ভিস চালু করতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, মহেশখালী দ্বীপের সন্তান লেখক গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান। তার প্রচেষ্টায় এই রোডে সী-ট্রাক চলাচল বাস্তব রূপ পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ এপ্রিল নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে সী-ট্রাক চলাচল শুরুর কথা রয়েছে।