দীর্ঘ দিন পর শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শক্তিশালী দল গড়েছিল ঢাকা মোহামেডান। লিগ পর্বটা বেশ ভালই করেছিল সাদা–কালো মিবির। কিন্তু সুপার লিগে এসে বিপকে পড়ে দলটি। কারন এরই মধ্যে লিগ পর্ব চলাকালে অসুস্থতার জন্য বাদ পড়েন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য দলে নেই সাতজন। তারা হলেন মেহেদী মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অংকন, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম এবং তাওহিদ হৃদয়। তাই অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে দল নামাতে হয় মোহামেডানকে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে। আর বৃষ্টি বিঘ্নিত সে ম্যাচে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের কাছে ডি/এল মেথডে ৯ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান।
গতকাল শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে চরম বিপাকে পড়েছে মোহামেডান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সাদা–কালোদের শুরু থেকেই করুণ অবস্থা। ২৭ রানে হারায় দুই উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে এক পর্যায়ে মাত্র ১০০ রানে ৭ উইকেট হারা মোহামেডান। বলা যায় আনিসুল ইসলাম ইমন কিছুটা টেনেছেন দলকে। তিনি ৩৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেললেও বাকি কেউ রান পাননি। দলের অণ্যদের মধ্যে রনি তালুকদার (০), তৌফিক তুষার (১৮), অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ (১২), ফরহাদ হোসেন (১৫), আরাফাত জুনিয়র (২) ও নাসুম আহমেদ (০) চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলে মোহামেডানের বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। এদিকে মোহামেডান যখন চরম বিপাকে ঠিক তখনই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধর সময় মোহামেডানের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১১৭। আরিফুল ইসলাম ১৬ আর আবু হায়দার রনি ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বাঁহাতি স্পিনার তানভির ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন রিজওয়ান।
জবাবে ব্যাট করতে নামা লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ প্রথম ওভারেই হারায় তানজিদ হাসান তামিমকে। কিন্তু এরপর সাঈফ হাসান এবং সৌম্য সরকার মিলে মোহামেডানের বোলারদের আর কোন সুযোগ দেননি। এদুজন মিলে যখন দলকে ১৩.২ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ রানে নিয়ে যান তখন আবার বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তখন ডি/এল মেথডে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের দরকার ছিল ৯৩ রান। ততক্ষনে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ তুলে ফেলে ৯৪ রান। ফলে ৯ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রূপগঞ্জ। সাঈফ হাসান ৪৪ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মেরেছেন। সৌম্য সরকার অপরাজিত ছিলেণ ৩৩ বলে ৩৬ রান করে। ৪টি চার মেরেছেন তিনি।
এদিকে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অগ্রণী ব্যাংক। ওপেনার প্রিতম কুমার বিদায় নেন ৮ রান করে। এরপর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস এবং ইমরান উজ্জামান। ২৯ রান করে ইমরান বিদায় নিলেও অবিচল ছিলেন ইমরুল। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে থাকা অবস্থায় দলের রান যখন ১০৯ তখন হানা দেয় বৃষ্টি। এরপর আর ব্যাট করতে পারেনি দলটি। বৃষ্টি আইনে আবাহনীর লক্ষ্য থাকে ১৫৭ রান। যা ৬ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দলটি।