রাউজানে জাফর (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা করে লাশ দিঘীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মহামুনি দিঘী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খান পাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
এই ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া।
নিহতের ভাই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইকে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের দিঘী হিসেবে পরিচিত পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে রাত ১১টায় নিখোঁজ হন নিহত জাফর।
মাথায় ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, লাশের সাথে লাঠি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত পাওয়া গেছে। জড়িত সন্দেহদের নাম পুলিশকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন৷
স্থানীয় সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দিঘীতে তার মাথা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। জাফরের ঘর থেকে তার ঘটনাস্থলের দূরত্ব অন্তত ২ কিলোমিটার।
পারিবারের সদস্যরা জানান, ২০১২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জুবায়েত (০৯) ও মিনা (০৪) নামে দুই সন্তান রয়েছে। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, মহামুনি দিঘী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের কপালে আঘাতের চিহ্ন আছে৷ পরিবার থেকে এজাহার দেয়ার পর অজ্ঞাতনামা কয়েজনের নামে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।