আসুন, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি

নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার । ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে

| সোমবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২৪এর গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখীসমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। গতকাল রোববার ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

. ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখবেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সমপ্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নবঅঙ্গীকারে। তিনি আরও বলেন, সারা বছরের দুঃখজরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে এদিনে বাঙালি রচনা করে সমপ্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসামপ্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব মসজিদে বেলা দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধনগর পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়