সবজির দাম চড়া

সরবরাহ সংকটের অজুহাত

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১২ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ছে সবজির বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সবজির দাম বাড়লেও কমেছে মাংসের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাছের দাম। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর থেকে উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম চড়া। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।

গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২নং গেট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজির বেগুনের দাম ১০ টাকা টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পটল ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, কাঁকরল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০১৪৫ টাকা, তিতা করলা ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, কচুরলতি ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সবজির উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ বাড়তে পারে। তখন আশা করি দাম কমে যাবে।

এদিকে মাংসের বাজারে দেখা গেছে, বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকায়। এছাড়া সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকায়। অপরদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে ওজনভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাঁচকি ৬০০ টাকা, কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সরপুঁটি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি রসুন ১২০ টাকা, চীনা রসুন ২৫০ টাকা, চীনা আদা ১৮০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে কলেজ শিক্ষার্থী আরজু হত্যার আসামি নাজিম গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন ২১ জন