চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। মানবজাতি সৃষ্টির শুরুতে ঈশ্বর প্রদত্ত শিক্ষা ছিল, আর এখন দেয়া হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আগামীতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদেরকে জন্য ধর্মীয় শিক্ষা জরুরি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, খেলাধূলা ও নীতি নৈতিকতার পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে তারা একদিন দেশের সুনাগরিক ও মানবিক মানুষ হবে। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলার মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম–৬ষ্ঠ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের উত্তম শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম জেলা কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম–৬ষ্ঠ পর্যায়ের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত। শেষে প্রকল্পের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের উত্তম শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম। অনুষ্ঠানে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক–শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৫ জন উত্তম শিক্ষক ও ১০ জন উত্তম শিক্ষার্থীকে ক্রেস্টসহ সনদপত্র প্রদান করা হয়। তাছাড়া ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ১৩টি ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মোট ৪৩ জন শিক্ষক–শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।