সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের নামে থাকা নগরের একটি সড়ক ও একটি পার্কের নাম পরিবর্তন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এছাড়া মেরামত কাজ চলা আরো একটি পার্কের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দাপ্তরিক পত্র দিয়ে সম্প্রতি জানিয়েছে চসিক। আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ সড়কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিমানবন্দর সড়ক। আমবাগান ‘শেখ রাসেল পার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্ক’। এছাড়া উত্তর কাট্টলী ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’–এর নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১২তম সাধারণ সভায় বিমানবন্দর সড়কের বারিক বিল্ডিং থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কের নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে তা অনুমোদন চেয়ে একই বছরের ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগে পত্র দেয় চসিক। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিমানবন্দর সড়ক (সল্টগোলা থেকে এয়ারপোর্টের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত) ও ভিআইপি রোডের (এয়ারপোর্টের প্রবেশ মুখ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মুখ পর্যন্ত) অংশকে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নমকরণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। ৪৫ কোটি টাকায় সড়কটি সংস্কার করা হয়।
এছাড়া ২০১৯ সালে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্ক’টি করে চসিক। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নামফলক খুলে ফেলা উত্তর কাট্টলী ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’–এর বর্তমানে সংস্কার ও মেরামত কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে নতুন নামকরণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে চসিক।
জানা গেছে, গত মাসে রাষ্ট্রীয় অর্থে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, প্রকল্প, পুরস্কার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত চেয়ার বা কর্নার, বিভিন্ন সড়কের নামকরণের ক্ষেত্রে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি মাস্টার লিস্ট প্রণয়ন করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ–বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’–এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে সিটি কর্পোরেশনে সড়ক, ভবন ও স্থাপনার নামকরণ পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরপ্রেক্ষিতে সড়ক ও পার্কের বিদ্যমান এবং পরিবর্তিত নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।