বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবা ভাণ্ডারীর জীবন দর্শন। তিন দিনব্যাপী ওরশের সমাপনী দিবসে গত শনিবার আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে র্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
দূর–দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত–জনতার অংশগ্রহণে ফটিকছড়িতে হযরত গাউছুল আজম শাহ্সুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) ৮৯ তম বার্ষিক ওরশ মহাসমারোহ উদযাপিত হয়েছে। রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাজিআ)। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ–সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষ। আর মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন– মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাহজাদা সৈয়দ মাশুক এ মইনুদ্দীন আল হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর খান, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মাওলানা মুফতি বাকিবিল্লাহ আজহারী, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী, খলিফা বোরহান উদ্দিন, কাজী মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।