২০২০ সালে মারা গেছেন কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে বিচারকার্য চলমান। ঠিক তখনই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সাবেক দেহরক্ষীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিচার চলাকালে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রো আদালতে বিচারকরা প্রসিকিউশনের দাবি মেনে নেওয়ার পর জুলিও কোরিয়াকে হাতকড়া পরিয়ে আদালত কক্ষ থেকে বের করে নেওয়া হয়। প্রমাণ অনুযায়ী, ম্যারাডোনা যেখানে মারা যান, কোরিয়া সেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটরদের মতে, কোরিয়া ম্যারাডোনাকে বাঁচানোর জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস–প্রদানের চেষ্টা করেছিলেন। যতক্ষণ না চিকিৎসকরা এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু কোরিয়া আদালতে দাবি করেন যে তিনি ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলডো লুকের (অভিযুক্তদের একজন) সঙ্গে কথা বলেননি। অথচ তদন্তে উঠে এসেছে, ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগে ও পরে তাদের মধ্যে একাধিক খুদে বার্তা বিনিময় হয়েছে। প্রসিকিউশন বারবার কোরিয়ার সাক্ষ্য প্রদান থামিয়ে দেন এবং তাকে ‘বিরোধপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ’ তথ্য দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। পরে তারা কোরিয়ার গ্রেফতারের আবেদন করেন।