‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ এই গানটি সব সময় ঈদের কথা মনে করিয়ে দেয়। গানটি শুনে মনে যে আনন্দ জাগে তা তুলনাহীন। এই গানের সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত আমাদের। কবি গানের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন, নিজেকে খুশি মনে আপন মনে বিলিয়ে দিতে বলেছেন সকলের নিমিত্তে। এই গানের মাধ্যমে খুঁজে পাই দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদ–উল–ফিতরের খুশির দিন। এটি মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এই গান না শুনলে মনে হয় ঈদের আমেজ অপূর্ণ থেকে গেছে। গানের মাধ্যমে ঘরে ঘরে নেমন্তন্ন, সেমাই, শীর খুরমা, পাস্তা, নুডলস আর পোলাও এর সু–ঘ্রাণ। অলিতে গলিতে ভিন্ন রঙের শুভ্র পাঞ্জাবি, নানান বাহারী টুপিতে লোকে লোকারণ্য। একে অপরকে ভালোবাসা, সাহায্য, আত্মিক পরিশুদ্ধি। কাঁধে জায়–নামাজ, হাতে তসবি, মনে মনে আল্লাহ্কে স্মরণ। বাহারী রঙে ও ঢঙের টুপি আর হাসিমুখে কোলাকুলি, করমর্দনের পর একে অপরে নিজের বাড়িতে টেনে নেওয়ার সুখ স্মৃতি। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদ এর অনুরোধে কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই কালজয়ী ইসলামী সংগীতটি রচনা করেন এবং নিজেই সুর দেন। সে সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া সেই গান চুরানব্বই বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মনে ধারণ করে আছে। আরো শতাধিক বছর বেঁচে থাকুক এ সংগীত। সম্প্রীতির বন্ধনে সেতু সৃষ্টির সওগাত নিয়ে আসে ঈদ। ঈদ হোক আনন্দের, হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করে, যে যার অন্তর থেকে, অবস্থান থেকে ধারণ করি কবি গানের কথাগুলোর অর্থ। তবেই ঈদ হবে সত্যিকারের ঈদ।